সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল: শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে উত্তেজনা

🎧 Listen in Audio
0:00

আজ সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হবে, যা দুপুর ১২টা থেকে আলোচনার জন্য উপস্থাপিত হবে। ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এই বিলটি উত্থাপিত হবে।

নয়াদিল্লি: আজ, বুধবার সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল উত্থাপিত হবে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে লোকসভায় এই বিল উত্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় লোকসভায় এই বিল উপস্থাপিত হবে এবং এর উপর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে বিরোধী দলের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন, যারা সরকারের উপর অভিযোগ করেছেন যে তারা বিরোধী দলের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই বিলকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক বাড়ছে এবং বিরোধী দলগুলি এটিকে সরকারের একপেশী কার্যকলাপ এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।

শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে উত্তেজনা

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের সকল সাংসদদের জন্য হুইপ জারি করেছে, যাতে তাদের সংসদে উপস্থিত থাকার এবং বিলের পক্ষে ভোটদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি সরকারের এই অবস্থানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং অভিযোগ করেছে যে সরকার বিরোধী দলের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত নয়।

বিজু জনতা দল (বিজেডি) -এর সাংসদ সসমিত পাত্র বিলের কপি এখনও বিতরণ না হওয়ার অভিযোগ করে বলেছেন যে তাদের দলের এই বিলের সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে বিরোধী দলের মতামত কি বিলে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

চন্দ্রশেখর আজাদ সমাজ পার্টি (কাঞ্চীরাম) -এর সাংসদ চন্দ্রশেখর সরকারের উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়ে বলেছেন যে, যদি সরকার প্রস্তুত থাকে, তাহলে তারাও এর বিরোধিতা করার জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেছেন যে এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয় এবং সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করে সরকার এটিকে প্রভাবিত করতে চায়।

ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক

ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক থেকে বিরোধী দলগুলি বেরিয়ে গিয়ে অভিযোগ করেছে যে সরকার তাদের বিষয়গুলি উপেক্ষা করছে। কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গোগোই বলেছেন, "আমরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেছি কারণ সরকার বিরোধী দলের কথা শোনার পরিবর্তে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা চাপিয়ে দিচ্ছে।" এদিকে, বিরোধী দলগুলি ওয়াকফ বিল, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন এবং ভোটার কার্ডকে আধারের সাথে সংযুক্ত করার মতো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু সরকার এগুলোর কোনোটিতেই আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। বিরোধী দলের দাবি, সরকার তাদের ইচ্ছামতো সংসদ পরিচালনা করছে, যার ফলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Leave a comment