কর্নাটকের অভিনেত্রী রন্যা রাওয়ের জামিন আবেদন খারিজ

🎧 Listen in Audio
0:00

কর্নাটকের অভিনেত্রী রন্যা রাওয়ের জামিন আবেদন খারিজ করল আদালত। তদন্তে আন্তর্জাতিক চোরাচালান নেটওয়ার্ক, প্রমাণের সাথে ছিনিমিনি এবং কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।

Ranya-Rao-Case: সোনার চোরাচালানের অভিযোগে কর্নাটকের কন্নড় অভিনেত্রী রন্যা রাওয়ের বড় ধাক্কা লেগেছে, কারণ ৬৪ নম্বর সিটি সিভিল ও সেসনস কোর্ট তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে তাঁকে এখনও কারাভোগ করতে হবে। এর আগে অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ আদালতও তাঁর জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল, এবং এখন তাঁর কেবলমাত্র হাইকোর্ট থেকেই সাহায্যের আশা রয়েছে। তাঁর আইনজীবীরা শীঘ্রই হাইকোর্টে আপিল দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আদালত জামিন খারিজ করার সময় উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

আদালত তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করার সময় তদন্তের সময় উঠে আসা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছে:

আন্তর্জাতিক চোরাচালান সংযোগ: তদন্তে এই তথ্য উঠে এসেছে যে রন্যা রাওয়ের ঘটনাটি একটি আন্তর্জাতিক সোনার চোরাচালান নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারে, যা জাতীয় সুরক্ষার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

কাস্টমস নিয়ম লঙ্ঘন: বিমান ভ্রমণের সময় কাস্টমস ব্যাগেজ নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সরবরাহ করে।

প্রমাণের সাথে ছিনিমিনির আশঙ্কা: আদালতের আশঙ্কা, জামিন পেলে রন্যা প্রমাণের সাথে ছিনিমিনি করতে পারেন অথবা তদন্তের দিক পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারেন।

নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ: এক বছরে ২৭ বার বিদেশ ভ্রমণের কারণে তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে গুরুতর সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে তদন্তের দিক প্রভাবিত হতে পারে।

ব্যাপক কর ফাঁকি: তাঁর উপর ২৮% কাস্টমস শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে সরকারকে ৪.৮৩ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

দেশ ত্যাগের আশঙ্কা: আদালতের এও উদ্বেগ রয়েছে যে জামিন পেলে রন্যা দেশ ত্যাগ করতে পারেন।

সাক্ষীর উপর চাপ প্রয়োগের আশঙ্কা: তাঁর প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের কথা বিবেচনা করে আদালতের আশঙ্কা, তিনি সাক্ষীদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেন অথবা তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারেন।

আদালত হেফাজতকে অপরিহার্য মনে করেছে

এই সকল দিক বিবেচনা করে আদালত রন্যা রাওয়ের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এবং মনে করেছে যে চলমান তদন্তের জন্য তাঁর হেফাজত প্রয়োজন।

DRI-এর তদন্তে নতুন অধ্যায়

রাজস্ব গোপনীয়তা পরিদপ্তর (DRI) এই মামলায় আরও একজন অভিযুক্ত, সাহিল জৈনকে গ্রেপ্তার করেছে। সাহিলের উপর চোরাচালান সোনা লুকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। কর্মকর্তারা মনে করেন, সাহিলের গ্রেপ্তার চোরাচালান নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে, যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ ঘটনার পর্দাফাঁস করা যেতে পারে। DRI সাহিল জৈনকে চার দিনের হেফাজতে রেখেছে এবং এই মামলার গভীর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a comment