রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের দাবি জানিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি ও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে সম্মিলিত আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
নয়াদিল্লি: বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এক চিঠি লিখে সংসদের বিশেষ অধিবেশন (special session) আহ্বানের দাবি জানিয়েছেন। তিনি যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সম্মিলিত আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, এটি এমন সময় যখন সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সামনে উপস্থিত চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করবে এবং দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেবে।
যুদ্ধবিরতির পর সংসদে আলোচনার দাবি
রাহুল গান্ধী তার চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অনুরোধ করেছেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন (special session) অবিলম্বে আহ্বান করার জন্য। রাহুল লিখেছেন, “আমি বিরোধীদের একমতের উপর ভিত্তি করে করা অনুরোধ পুনরায় উল্লেখ করছি যে, সংসদের বিশেষ অধিবেশন অবিলম্বে আহ্বান করা উচিত।” তিনি আরও বলেছেন, পাহালগাম সন্ত্রাসবাদী হামলা (Pahalgam terrorist attack), অপারেশন সিন্দুর এবং সম্প্রতি ঘোষিত যুদ্ধবিরতির মতো ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
রাহুল গান্ধী তার চিঠিতে স্পষ্ট করে বলেছেন, এই অধিবেশন কেবল ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আলোচনার সুযোগই নয়, বরং আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সম্মিলিত সংকল্প প্রদর্শনের সুযোগও। তিনি বলেছেন, "এটি এমন সময় যখন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে পারি এবং আমাদের দেশের রক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে পারি।"
পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে ১০ মে সন্ধ্যায় একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে, এর পরও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সীমান্তে ড্রোন হামলার ঘটনা অব্যাহত ছিল। যুদ্ধবিরতির পরও অনেক এলাকায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আকাশ হামলা চালানো হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
বিরোধীরা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে
যুদ্ধবিরতির পর, বিরোধী দলনেতারা সংসদে বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের জন্য ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছেন। কংগ্রেসের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জনৈক নেতা জয়রাম রমেশও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এক চিঠি লিখে এই বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বিরোধী দলের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর, এই বিষয়ে সংসদে সম্মিলিতভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন, যাতে ভারতের নিরাপত্তা নীতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নিয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া যায়।
রাহুল গান্ধী চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন যে, "এই সম্মিলিত আলোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হবে, যেখানে সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে নিশ্চিত করতে পারবে যে, দেশের নিরাপত্তা এবং নীতি সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে আমাদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম।"
বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ বার্তা
বিরোধী দলের দাবি, এটি এমন সময় যখন সকল দল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের সামনে উপস্থিত চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করবে এবং সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। রাহুল গান্ধীর আরও বক্তব্য, দেশের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সরকারের দায়িত্ব।