অতিশীঘ্রই জনগণনা: কংগ্রেসের প্রশ্ন ও সরকারের উত্তর

🎧 Listen in Audio
0:00

কেন্দ্র সরকার অতিশীঘ্রই জনগণনার কার্যক্রম গ্রহণ করার পরিকল্পনা করছে। এই প্রক্রিয়ার জন্য সরকার রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের দায়িত্বকাল বৃদ্ধি করেছে এবং সে সংক্রান্ত অধিসূচনাও জারি করেছে। এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে।

নয়াদিল্লি: কংগ্রেস জনগণনা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছে, তারা অতিশীঘ্রই জনগণনা সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্র সরকার এই প্রক্রিয়ার জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের দায়িত্বকাল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে সংক্রান্ত অধিসূচনাও জারি করেছে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস কিছু প্রশ্ন তুলেছে। জয়রাম রমেশ বলেছেন, জনগণনার সমীক্ষার আগে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনও কোন স্পষ্টতা নেই।

অতিশীঘ্রই হতে চলেছে জনগণনা

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি পোস্টে লিখেছেন যে, সরকারের অধিসূচনা থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, ২০২১ সালে হওয়া জনগণনা, যা অনেক দিন ধরে পিছিয়ে ছিল, এখন অতিশীঘ্রই সম্পন্ন হবে। তিনি আরও বলেছেন যে, জনগণনার সমীক্ষার আগে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনও কোন স্পষ্টতা আসেনি।

কোন দুটি বিষয় নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্ন

কংগ্রেস নেতা প্রশ্ন তুলেছেন যে, ১৯৫১ সাল থেকে প্রতিটি জনগণনায় অনুসূচিত জাতি ও অনুসূচিত জনজাতির গণনা করা হচ্ছে, তাহলে এই নতুন জনগণনায় কি জাতিগত জনগণনাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে? ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, জাতিগত জনগণনার দায়িত্ব কেন্দ্র সরকারের।

তিনি আরও জানতে চেয়েছেন, এই জনগণনার ফলাফল কি লোকসভায় প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধির সংখ্যা নির্ধারণে ব্যবহার করা হবে, যেমনটি ভারতীয় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে? এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, কোন পুনর্গঠনের ভিত্তি ২০২৬ সালের পর প্রথম জনগণনা এবং তার ফলাফল প্রকাশের উপর নির্ভর করবে। কি এই জনগণনার ফলাফল সেসব রাজ্যের জন্য ক্ষতিকারক হবে, যারা পরিবার পরিকল্পনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে?

সরকারের কাছে দাবী

কংগ্রেস নেতা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন যে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পষ্টতা আনার জন্য অতিশীঘ্রই একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করা হোক। এই দাবীর উদ্দেশ্য বিভিন্ন দলের মধ্যে সংলাপ স্থাপন করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে সমঝোতা বৃদ্ধি করা এবং নীতিগত সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা ও আস্থা বৃদ্ধি করা।

Leave a comment