মুজফ্ফরপুর ধর্ষণ: উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি, ১২ ঘণ্টায় অভিযুক্তকে কারাগারে

🎧 Listen in Audio
0:00

বিহারের মুজফ্ফরপুরে এক কিশোরীর সাথে ঘৃণ্য ধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাজ্যে তীব্র বেদনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পর প্রশাসন ও সরকারের উপর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে।

পাটনা: বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলায় এক কিশোরীর সাথে ধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাজ্য কেঁপে উঠেছে। পীড়িতার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কঠোর ভাষায় প্রশাসনকে তিরস্কার করে বলেছেন – বুলডোজার চালানো হোক বা এনকাউন্টার করা হোক, আমার পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। অভিযুক্তকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে অথবা মাটির নিচে থাকতে হবে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা ছিল, এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর এই স্পষ্ট বক্তব্য একটি নতুন আশা জেগেছে যে দোষীরা আর কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে না।

যখন নীরবতা ভাঙল, বেরিয়ে এলো ব্যথা

পীড়িতা, যিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সী, তাকে পাড়ার এক ব্যক্তি প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ছোট্ট মেয়েটি ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল, কিন্তু যখন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে, তখন পরিবারের লোকজন সত্য জানতে চায়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়, কিন্তু স্থানীয় পুলিশের ঔদাসীন্য ও দ্বিধাগ্রস্ততার কারণে অভিযুক্ত পলাতক থাকে। বিষয়টি মিডিয়ায় আসার পরে প্রশাসনের ঘুম ভাঙে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করেন।

উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পীড়িতার বাড়িতে আবেগঘন দেখা

উপ-মুখ্যমন্ত্রী যখন পীড়িতার বাড়িতে পৌঁছান, তখন গোটা গ্রাম জড়ো হয়। তিনি পরিবারকে জড়িয়ে ধরেন, এবং মেয়েটির বাবার হাত ধরে বলেন – যখন মেয়ের উপর অত্যাচার হয়, তখন সরকার চুপ করে বসে থাকতে পারে না। এখন ব্যবস্থা হবে, দেখানোর জন্য নয় – আসল। তিনি কর্মকর্তাদের সেখানেই বলেন, আমি আদেশ দিচ্ছি, পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাড়িতে বুলডোজার চলুক বা পালিয়ে গেলে এনকাউন্টার হোক, রাজ্য সরকার পিছিয়ে থাকবে না।

প্রশাসনের উপর প্রশ্ন, এখন ব্যবস্থার চাপ

উপ-মুখ্যমন্ত্রীর রাগ স্পষ্ট ছিল। তিনি এসপি এবং ডিএমকে বলেন, যদি এই মামলায় একজনও পুলিশ কর্মীর গাফিলতি পাওয়া যায়, তাহলে নिलम्बন নিশ্চিত। ব্যবস্থা শুধুমাত্র অভিযুক্তের উপর নয়, সিস্টেমের উপরও হবে। এরপর একটি এসআইটি (Special Investigation Team) গঠন করা হয়, এবং অভিযুক্তের সন্ধানে তিনটি দলকে নিয়োগ করা হয়। পীড়িতাকে চিকিৎসা পরীক্ষা এবং পরামর্শের জন্য পাটনায় পাঠানো হয়েছে, যেখানে তার মানসিক চিকিৎসা করা হচ্ছে।

উপ-মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র প্রতিক্রিয়া সরকার দল ও বিরোধী দল উভয়ের মধ্যেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কোনো কোনো একে রাজনৈতিক দেখানো বলেছেন, আবার অনেকে একে প্রয়োজনীয় নেতৃত্বের উদাহরণ বলে মনে করেন। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে স্বস্তির অনুভূতি রয়েছে। এক গ্রামীণ মহিলা বলেছেন, আমরা আজ পর্যন্ত কোনো নেতাকে এত রাগে দেখিনি। যদি এমন নেতা থাকেন, তাহলে আমাদের মেয়েদের আর ভয় থাকবে না।

Leave a comment