খ্যাতনামা ইউটিউবার মনীষ কাশ্যপ বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দলের সদস্য থাকাকালীন জনগণের সমস্যা সমাধানে তিনি কার্যকর ভাবে কণ্ঠস্বর তুলতে পারছিলেন না, তাই এখন তিনি স্বাধীনভাবে জনস্বার্থে কাজ করবেন।
বিহারের রাজনীতি: বিহারের আলোচিত ইউটিউবার ও সমাজকর্মী মনীষ কাশ্যপ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দলে থাকাকালীন তিনি নিজের রক্ষা করতে পারেননি এবং জনগণের সমস্যাগুলি কার্যকরভাবে তুলে ধরতে পারেননি। এখন তিনি একটি নতুন মঞ্চ বা রাজনৈতিক পথ খুঁজে পাবেন এবং বিহারের সমস্যাগুলি নিয়ে তাঁর লড়াই অব্যাহত রাখবেন।
ফেসবুক লাইভে পদত্যাগের ঘোষণা
মনীষ কাশ্যপ রবিবার ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন যে তিনি আর বিজেপির সদস্য নন। তিনি বলেছেন, "আমি বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলাম না। যখন আমি দলে থেকে নিজের রক্ষা করতে পারিনি, তখন জনগণের সাহায্য কি করে করব? এখন আমি একটি নতুন মঞ্চ থেকে আমার কথা বলব।"
নির্বাচনে লড়াইয়ের ইঙ্গিত
তাঁর লাইভ সম্প্রচারে মনীষ কাশ্যপ জনগণের কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন যে তাকে কোন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়াই করা উচিত। তিনি বলেছেন, "আপনারা বলুন, আমাকে কোন এলাকা থেকে নির্বাচনে লড়াই করা উচিত? কোন দল থেকে নাকি স্বতন্ত্রভাবে? আমার লড়াই কোন ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়, বরং ব্যবস্থার বিরুদ্ধে।"
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ
মনীষ কাশ্যপ বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেয়ের উপর গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, যদি মন্ত্রী সময়মতো নজর দিতেন, তাহলে মুজফ্ফরপুরের ওই শিশুর মৃত্যু হতো না। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন এবং খুব শীঘ্রই প্রমাণসহ তা প্রকাশ করার কথা বলেন। তিনি বলেন, "বিজেপিতে থাকাকালীন আমি অনেক সমস্যা তুলে ধরেছি, কিন্তু দল কখনো আমার পাশে দাঁড়ায়নি। এখন আমি স্বাধীনভাবে জনগণের কণ্ঠস্বর হব।"
জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত
মনীষের বক্তব্য, তিনি বিহারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলেছেন। সবাই তাকে দল থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি ২০ থেকে ২৫টি জায়গায় বৈঠক করেছি এবং প্রতিটি জায়গায় মানুষ বলেছে যে দল আপনাকে সমর্থন করেনি। বেরিয়ে আসুন এবং জনগণের জন্য লড়াই করুন।"
'ব্র্যান্ড বিহার'-এর কথা
মনীষ কাশ্যপ ইঙ্গিত করেছেন যে তিনি 'ব্র্যান্ড বিহার' নিয়ে একটি আলাদা রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু করতে পারেন। তিনি বলেছেন যে নতুন মঞ্চ তৈরি করা হবে নাকি কোনও বিদ্যমান সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়া হবে তা বিবেচনা করা উচিত। তাঁর বক্তব্য, "বিহারের জন্য আমাকে লড়াই করতে হবে, অভিবাসন বন্ধ করতে হবে এবং তরুণদের কণ্ঠস্বর দিতে হবে।"
পদত্যাগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
তাঁর ফেসবুক লাইভে মনীষ বলেছেন, "কিছু লোক এই সিদ্ধান্তে খুশি হবে, কেউ কেউ দুঃখিত হবে। কিন্তু যাদের দুঃখ হয়েছে তাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। দলে থাকাকালীন আমি আমার কথা বলতে পারিনি। বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।"
