রাজস্থানের ভরতপুরস্থিত মহারাজা সূর্যমল বৃজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র হইচই পড়ে গেল যখন রাজ্যপাল হরিভাউ বাগড়ের উপস্থিতিতেই উপাচার্য রমেশ চন্দ্র ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) প্রদেশ সহ-সম্পাদক নীতেশ চৌধুরীর মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।
জয়পুর: মহারাজা সূর্যমল বৃজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল হরিভাউ বাগড়ের উপস্থিতিতে উপাচার্য রমেশ চন্দ্র ও ABVP প্রদেশ সহ-সম্পাদক নীতেশ চৌধুরীর মধ্যে তীব্র বিতর্ক দেখা দেয়। ABVP কর্মীরা উপাচার্যের উপর দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনেন, আর উপাচার্য তা ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ বলে উড়িয়ে দিয়ে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন।
পরিস্থিতি আরও জটিল হতে দেখে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন এবং ABVP কে ন্যায্য তদন্তের জন্য তাদের কাছে থাকা নথিপত্র জমা দিতে বলেন। এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ উঠা দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ABVP কর্মীদের প্রতিবাদে পরিবেশ তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
রাজ্যপালের সফরকালে সংঘর্ষ
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজ্যপাল হরিভাউ বাগড়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেই সময় ABVP কর্মীরা তাকে একটি স্মারকলিপি দিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনেন। ABVP নেতা নীতেশ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের স্বার্থ উপেক্ষা করা হচ্ছে এবং উপাচার্য কেবলমাত্র আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করছেন।
রাজ্যপাল তদন্তের আশ্বাস দেন
এই অভিযোগের জবাবে উপাচার্য রমেশ চন্দ্র তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং ABVP নেতাকে ‘ব্ল্যাকমেইলার’ বলে অভিহিত করে বলেন যে, তিনি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি ABVP-কে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অযথা হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও করেন। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজ্যপাল হরিভাউ বাগড়েকে নিজেই হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি উভয় পক্ষকে শান্ত করে ABVP কর্মীদের বলেন যে, তারা তাদের সকল নথিপত্র ও প্রমাণ রাজভবনে জমা দিন যাতে একটি ন্যায্য তদন্ত করা যায়।
এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত থেকে যায়। একদিকে ABVP উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে, অন্যদিকে উপাচার্য আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এখন দেখার বিষয় রাজ্যপালের নির্দেশের পর এই বিতর্কের কী সমাধান হবে।