উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে ভস্ম আরতি দর্শনের নামে ভক্তদের কাছ থেকে প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে। ৮৫০০ টাকা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুণের এক নারীর কাছ থেকে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে ভস্ম আরতি দর্শনের নামে পুণের এক নারীর কাছ থেকে ৮৫০০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এই প্রতারণায় জড়িত দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, যাদের মধ্যে একজনকে মন্দিরের পুরোহিতের সহযোগী বলে জানা গেছে।
কী ঘটেছে?
পুণের বিদ্যা ভূমকার তার তিন সঙ্গী নারীর সাথে ২ মার্চ মহাকাল মন্দির দর্শনের জন্য উজ্জয়িনীতে যান। তারা মন্দির কমিটির সদস্য রাজেন্দ্র শর্মা গুরুর কাছ থেকে ভস্ম আরতির অনুমতি চেয়েছিলেন। রাজেন্দ্র গুরু অনুমতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অনুমতি পাওয়া যায়নি।
এই সময় তাদের সাথে দীপক বৈষ্ণব নামে এক যুবকের দেখা হয়, যিনি ৮৫০০ টাকা নিয়ে ভস্ম আরতির অনুমতি দেওয়ার দাবি করে। নারীরা তাকে টাকা দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে রাজেন্দ্র গুরুই তাদের অনুমতি নিশ্চিত করে দেন। যখন নারীরা দীপকের কাছ থেকে টাকা ফেরত চেয়েছিলেন, তখন তিনি মাত্র ৪০০০ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন এবং বাকি টাকা দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
মন্দিরে এর আগেও প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে
মহাকাল মন্দিরে ভিআইপি দর্শন এবং ভস্ম আরতির অনুমতি দেওয়ার নামে ভক্তদের কাছ থেকে প্রতারণার অনেক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের মতে, এই ধরণের প্রতারণায় এখন পর্যন্ত মন্দির কমিটি এবং নিরাপত্তা সংস্থার প্রায় ১০ জন কর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, দুইজন মিডিয়াকর্মীসহ আরও চারজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক, যাদের উপর ১০-১০ হাজার টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
পুরোহিতের সহযোগীর মিলিভোগতা
পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, দীপক বৈষ্ণব মন্দিরের পুরোহিত ববলু গুরুর সেবক রাজু ওরফে দুগ্গরের মাধ্যমে লোকজনকে ভস্ম আরতির অনুমতি দেওয়ার প্রলোভন দেখাত। ভক্তদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ তারা পরস্পর ভাগ করে নিত। বিদ্যা ভূমকার এবং মন্দির কমিটির দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মহাকাল থানার পুলিশ দীপক বৈষ্ণব এবং রাজু ওরফে দুগ্গরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশের আবেদন: সতর্ক থাকুন ভক্তগণ
এই ঘটনার পর মন্দির প্রশাসন ভক্তদের অসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাবধান থাকার এবং কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে টাকা না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। পুলিশ অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং শীঘ্রই আরও গ্রেফতার হতে পারে।