হিমাচলের প্রাক্তন পরিবহন রাজ্যমন্ত্রী এবং শহীদ বাজির রাম সিং পঠানিয়ার বংশধর কেওয়াল সিং পঠানিয়ার ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।
কেওয়াল সিং পঠানিয়া: হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন পরিবহন রাজ্যমন্ত্রী এবং অমর শহীদ বাজির রাম সিং পঠানিয়ার বংশধর কেওয়াল সিং পঠানিয়ার বুধবার রাতে মৃত্যু হয়। ৮৮ বছর বয়সী কেওয়াল সিং গত কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বুধবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নুরপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ হবে শেষকৃত্য
কেওয়াল সিং পঠানিয়ার শেষকৃত্য তার পৈত্রিক গ্রাম ভাসা বাজিরানে সম্পন্ন হবে। তার মৃত্যুর খবরে হিমাচলের রাজনীতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাজনৈতিক জীবন: দুবার বিধায়ক, একবার মন্ত্রী
কেওয়াল সিং পঠানিয়ার রাজনৈতিক জীবন ছিল সংগ্রাম ও সাফল্যের সমন্বয়ে। তিনি দুবার বিধায়ক এবং একবার পরিবহন রাজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭২ সালে নুরপুর থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিধানসভায় নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ সালে জনতা দলের টিকিটে জয়ী হন।
১৯৭২ সালে প্রথমবার বিধানসভায়
১৯৭২ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কেওয়াল সিং পঠানিয়া হিমাচল বিধানসভায় প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি কংগ্রেসের শক্তিশালী নেতা সৎ মহাজনের পরাজয় ঘটান।
১৯৯০ সালে জনতা দল থেকে জয় এবং পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্ব
১৯৯০ সালে জনতা দলের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ১৯৯৩ সালে জনতা দল কংগ্রেসে বিলীন হওয়ার পর জ্বালামুখী থেকে নির্বাচনে জয়ী হন এবং বীরভদ্র সিংহের মন্ত্রিসভায় পরিবহন রাজ্যমন্ত্রী হন।
১৯৮৫ সালে বীরভদ্র সিংহের অনুরোধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি
১৯৭৭ সালে জনতা পার্টি এবং ১৯৮২ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু পরাজিত হন। ১৯৮৫ সালে বীরভদ্র সিংহের অনুরোধে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
২০০৭ সালে বসপার টিকিটে নির্বাচনে অংশগ্রহণ
১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ২০০৩ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। ২০০৭ সালে তিনি বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)-র টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু সাফল্য পাননি।