জারখণ্ডে কংগ্রেস নেতার বিজেপি সমর্থনের অভিযোগে বহিষ্কার

🎧 Listen in Audio
0:00

কংগ্রেস জারখণ্ডের মুসাবনি প্রখণ্ড সভাপতি মো. মুস্তাকিমকে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে অভিযোগে বহিষ্কার করেছে। ছবি এবং প্রমাণের ভিত্তিতে এই সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Jharkhand Politics: জারখণ্ডের রাজনীতিতে তখনই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় যখন কংগ্রেস পার্টি তাদের একজন স্থানীয় নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। ঘটনাটি পূর্ব সিংভূম জেলার মুসাবনি প্রখণ্ড সভাপতি মোহাম্মদ মুস্তাকিমের সাথে জড়িত, যার উপর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) -র প্রার্থীকে সমর্থন করার গুরুতর অভিযোগ আছে। কংগ্রেস এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে তাকে তৎক্ষণাৎ পদ থেকেই নয়, দল থেকেও বহিষ্কার করেছে।

কিসের জেরে এই বিতর্ক?

এই পুরো ঘটনা জারখণ্ডের গত বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। অভিযোগ উঠেছে যে মোহাম্মদ মুস্তাকিম সেই সময় কংগ্রেসের মিত্র প্রার্থী রামদাস সোরেনের বিরোধিতা করে বিজেপি-র প্রার্থী বাবুলাল সোরেনের পক্ষে প্রচার করে এবং তার পক্ষে কাজ করেছেন। এটি কংগ্রেসের দলীয় নীতির বিরুদ্ধে ছিল।

দলের কিছু স্থানীয় নেতা এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন এবং প্রমাণ হিসেবে কিছু ছবিও উপস্থাপন করেছিলেন, যেখানে মুস্তাকিমকে বিজেপি প্রার্থীর সাথে দেখা গেছে। এছাড়াও, তিনি বিজেপির সভায় যোগদান করেছিলেন বলেও জানা গেছে।

কংগ্রেসের পদক্ষেপ

পূর্ব সিংভূম জেলা কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত গ্রামীণ সভাপতি অমিত রায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি মুস্তাকিমকে একটি চিঠি জারি করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, তার কাজ দলবিরোধী ছিল এবং এই কারণেই তাকে তৎক্ষণাৎ পদচ্যুত করা হচ্ছে এবং কংগ্রেস দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

অমিত রায় তার চিঠিতে লিখেছেন, “আপনার কর্মকাণ্ড গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে ছিল। আপনি মিত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী বাবুলাল সোরেনের পক্ষে প্রচার করেছেন, যা প্রমাণিত হয়েছে।”

এই চিঠির একটি করে কপি কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ফ্রন্টের জেলা সভাপতি, রাজ্য সভাপতি এবং রাজ্য প্রভারীকেও পাঠানো হয়েছে, যাতে পরবর্তীতে সাংগঠনিক পর্যায়ে এই সিদ্ধান্তটি রেকর্ড করা যায়।

বিজেপির সাথে সম্পর্কের পাকাপোক্ত প্রমাণ

জেলা কংগ্রেসের নেতারা মুস্তাকিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিজেপি প্রার্থীর সাথে তার অনেক ছবি, জনসভায় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও ফুটেজও জমা দিয়েছিলেন। এই প্রমাণগুলি এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল যে তিনি দলীয় নীতি লঙ্ঘন করেছেন।

কংগ্রেসের মুখপাত্র শমশের খানও এই পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, “সংগঠন সবসময় তাদের নীতির সাথে আপোষ করার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মুস্তাকিমের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া এরই একটা উদাহরণ।”

Leave a comment