জাল দুধের কারবার: ১৯ কেজি বিষাক্ত পাউডার জব্দ

🎧 Listen in Audio
0:00

দুধ, যাকে প্রতিটি ঘরে স্বাস্থ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়, সেটিই এখন বিষ হয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। শুদ্ধতার আশায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ দুধ পান করে, কিন্তু জেলা থেকে আসা একটি খবর মানুষের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।

অপরাধ: শুদ্ধতার আশায় যখন মানুষ দুধ পান করে, তখন হয়তো কারোরই ধারণা হয় না যে সেই দুধেই বিষ মিশে থাকতে পারে। কিন্তু জেলায় খাদ্য দপ্তরের একটি গোপন অভিযান মিশ্রণের এই কালো ব্যবসার পর্দা ফাঁক করে দিয়েছে। দপ্তরের একটি দল ছদ্মবেশী গ্রাহক হয়ে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৯ কেজি জাল দুধ তৈরির পাউডার জব্দ করেছে।

গোপনীয়ভাবে বড় অভিযান

সূত্রের খবর অনুযায়ী, খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ পেয়ে আসছিল যে এলাকার কিছু দোকানদার জাল দুধ বা মিশ্রিত পণ্য তৈরি করছে। ক্রমাগত আসা অভিযোগগুলিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে দলটি পরিকল্পিতভাবে অভিযানের পরিকল্পনা তৈরি করে। একজন কর্মকর্তা ছদ্মবেশী গ্রাহক হয়ে সংশ্লিষ্ট দোকানের সাথে যোগাযোগ করেন।

গ্রাহক দোকানদারের কাছে দুধে মেশানোর জন্য বিশেষ পাউডার চায়, যা দুধ ঘন ও ফেনাযুক্ত করে। দোকানদার যখন কেজি গুলি গ্রাহকের সামনে রাখে, ঠিক তখনই দলটি অভিযান চালায়।

১৯ কেজি পাউডার ও নথিপত্র জব্দ

দোকানের তল্লাশীতে ১৯ কেজি সন্দেহজনক পাউডার উদ্ধার করা হয়, যা দাবি করা হয় জাল দুধ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল। পাশাপাশি দোকান থেকে কিছু বিল-বহি এবং অন্যান্য নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এই সমস্ত সামগ্রী পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা কর্মকর্তা [অধিকারীর নাম] জানান, “এই পাউডার অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে।

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে এর মধ্যে ডিটারজেন্টের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশ্রিত থাকতে পারে। বিস্তারিত তদন্তের পরে এর সত্যতা নিশ্চিত করা হবে। যদি রিপোর্ট ইতিবাচক আসে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দোকানদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের মিশ্রিত পাউডার দিয়ে তৈরি দুধ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। এতে পেটের সমস্যা, লিভারের ক্ষতি, শিশুদের বৃদ্ধি বন্ধ হওয়া এবং ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে যে এই ধরণের অবৈধ কার্যকলাপের সম্পূর্ণ নির্মূল করা উচিত।

অনেক লোক জানিয়েছে যে কয়েকদিন ধরে তাদের দুধের স্বাদ অদ্ভুত লাগছে, কিন্তু তাদের ধারণা ছিল না যে এর পিছনে এত বড় ধরণের জালিয়াতি থাকতে পারে। জেলা প্রশাসন সকল ডেয়ারি এবং দুধ বিক্রেতাদের সতর্ক করে দিয়েছে যে যদি কোন ধরণের মিশ্রণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাদ্য দপ্তরও বিশেষ নজরদারি অভিযান শুরু করেছে।

Leave a comment