হোলির সময় রেলের কঠোর নিয়ম: কেবলমাত্র কনফার্ম টিকিটধারীদের প্রবেশাধিকার

🎧 Listen in Audio
0:00

হোলির সময় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রেলের কঠোর নিয়ম। শুধুমাত্র কনফার্ম টিকিটধারী যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি, ক্যামেরা-সহ ওয়ার রুম, অবৈধ পথ বন্ধ, সাধারণ টিকিট বিক্রি সীমিত।

ওয়েটিং টিকিট: হোলির সময় যাত্রীদের অত্যধিক ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য রেলওয়ে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করেছে। এখন শুধুমাত্র কনফার্ম টিকিটধারী যাত্রীদেরই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। রেলওয়ের মতে, এতে স্টেশনে অপ্রয়োজনীয় ভিড় জমবে না এবং হতভম্বের মতো পরিস্থিতি থেকে বেঁচে যাওয়া সম্ভব হবে। যাদের ওয়েটিং টিকিট আছে, তাদের স্টেশনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

মহাকুম্ভ দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা

মহাকুম্ভের সময় দিল্লি স্টেশনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রেলওয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। প্ল্যাটফর্মে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যামেরা এবং ওয়ার রুম স্থাপন করা হবে। স্টেশনের বাইরে ওয়েটিং এরিয়া তৈরি করা হবে, যেখানে যাত্রীরা তাদের ট্রেনের আগমনের ঠিক আগে প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার অনুমতি পাবেন।

অবৈধ পথ বন্ধ হবে

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সকল অবৈধ পথ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও, স্টেশন এবং আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত ক্যামেরা স্থাপন করা হবে যাতে যাত্রীদের চলাচলে নজরদারি করা যায়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং যেকোনো জরুরী অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সীমিত সংখ্যক সাধারণ টিকিট

ভাগলপুর থেকে যাত্রা শুরু করা বিক্রমশীলা, এলটিটি, অঙ্গ ও বনানচল যে ট্রেনগুলি রয়েছে, সেগুলিতে ভিড়ের কারণে আসন নিয়ে হুড়োহুড়ি ও ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। এটি রোধ করার জন্য রেলওয়ে সাধারণ টিকিট বিক্রি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকিটই জারি করা হবে, যাতে যাত্রীরা আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পায়।

জরুরী অবস্থার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

রেলওয়ে প্রশাসন জরুরী অবস্থার মোকাবেলা করার জন্য স্টেশন পরিচালককে বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে। স্টেশনে নিযুক্ত সকল কর্মকর্তা স্টেশন পরিচালকের কাছে রিপোর্ট করবেন। এছাড়াও, যেকোনো জরুরী পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশেষ ট্রেন চালানো

যাত্রীদের সুবিধার জন্য রেলওয়ে দিল্লি, মুম্বইসহ অন্যান্য শহরের উদ্দেশ্যে পাঁচটি হোলি বিশেষ ট্রেন চালিয়েছে। ভাগলপুর থেকেও হোলির পর বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। তবে, বিশেষ ট্রেনগুলি সময়মতো চালানোর দিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

প্রথম দিনেই নয়াদিল্লি হোলি বিশেষ ট্রেন (04067) তিন ঘণ্টা দেরিতে ভাগলপুরে পৌঁছেছে। এই ট্রেনটি সকাল ৪:১৫ টায় পৌঁছানোর কথা ছিল, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ৭:২৫ টায় পৌঁছেছে, যার ফলে যাত্রীদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। রেলওয়ে প্রশাসনের দাবি, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।

Leave a comment