হিসার বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিন দিনের ট্রায়াল

🎧 Listen in Audio
0:00

ভারতীয় বিমানবাহিনী হিসার বিমানবন্দরে তিন দিনের ট্রায়াল শুরু করেছে। এই সময় যুদ্ধবিমান অবতরণ করা হবে। বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের রানওয়ে পরিদর্শন করছেন।

হরিয়ানা নিউজ: মঙ্গলবার হরিয়ানার হিসারের আকাশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানের গর্জনধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। বিমানবাহিনীর বিমানগুলি হিসার বিমানবন্দর পরিদর্শন করে পরে ফিরে যায়। এই ট্রায়াল তিন দিন ধরে চলবে, বুধবার প্রথমবারের মতো যুদ্ধবিমানগুলি হিসারের মাটিতে অবতরণের আশা করা হচ্ছে।

ট্রায়ালের সময় কি ঘটেছিল?

মহারাজা অগ্রসেন বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর বিমানগুলি রানওয়ে পরিদর্শন করেছে, কিন্তু মঙ্গলবার তারা অবতরণ করেনি। তবে, এই রানওয়ে ভবিষ্যতে জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সূত্রের খবরে জানা গেছে, সিরসা থেকে দুই-তিনটি বিমান হিসারে এসে পরিদর্শন করে ফিরে গেছে।

১০,০০০ ফুট লম্বা রানওয়ে

হিসার বিমানবন্দরে ১০,০০০ ফুট লম্বা রানওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যা সিরসা এবং আম্বালা বিমানবাহিনীর ঘাঁটিকে আরও শক্তিশালী করবে। এই রানওয়ে দিল্লি এবং পাঞ্জাবের বিমানবন্দরগুলিরও কাছে, যা বিমানবাহিনীকে দ্রুত সহায়তা প্রদান করবে। তবে, এই বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য এখনও ডিজিএসিএ থেকে লাইসেন্স পাওয়া যায়নি, যার ফলে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

আকাশে গর্জন, কিন্তু বিমান দেখা যায়নি

মঙ্গলবার দুপুর প্রায় ১২টার সময় আকাশে যুদ্ধবিমানের শব্দ শোনা গেলেও কোনো বিমান দেখা যায়নি। এই পরিদর্শন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা করছেন। এই সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর ছিল এবং অনুমতি ছাড়া কোনও বহিরাগত ব্যক্তিকে বিমানবন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কর্মকর্তা ও সামগ্রীর কঠোর তল্লাশি

এই ট্রায়ালের জন্য ১৫ জনের বেশি কর্মকর্তা হিসারে এসেছেন। বিমানবন্দরে অনেক গাড়ি সামগ্রী নিয়ে এসেছে, তল্লাশির পরেই তাদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিমানবাহিনী নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা করেছে যাতে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায়।

জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত রানওয়ে

এই রানওয়ে বিমানবাহিনীর জন্য কেবলমাত্র একটি বিমান চলাচলের সুবিধা নয়, জরুরি অবস্থার সময়ও ব্যবহার করা যাবে। হিসারের অবস্থান এটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে, যা বিমানবাহিনীকে জরুরি অবস্থায় দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা দেবে।

Leave a comment