গুড়গাঁও মেয়র নির্বাচনে বিজেপি থেকে উষা প্রিয়দর্শী এবং কংগ্রেস থেকে জুহি বব্বরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উভয়ই যোগাযোগের দক্ষতায় পারদর্শী এবং সাইবার সিটির জন্য একজন কার্যকর মেয়র হিসেবে প্রমাণিত হতে পারেন।
নির্বাচন: গুড়গাঁওয়ে সাইবার সিটির মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে প্রতিযোগিতা রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে। আইটি, টেলিযোগাযোগ, স্বয়ংচালিত এবং চিকিৎসা পর্যটন খাতে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেছে এমন এই শহরের মেয়র পদে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা অবশ্যম্ভাবী।
বিজেপি থেকে রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি উষা প্রিয়দর্শী এবং কংগ্রেস থেকে রাজ বব্বরের কন্যা জুহি বব্বরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় নেতাই যোগাযোগের দক্ষতায় পারদর্শী এবং নিজ নিজ দলের শক্তিশালী মুখ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি উষা প্রিয়দর্শী এবং জুহি বব্বর পরস্পরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াই করেন, তাহলে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত রোমাঞ্চকর হতে পারে। উষা প্রিয়দর্শী বিজেপির একজন উদ্যমী নেত্রী, অন্যদিকে জুহি বব্বর তার পিতা রাজ বব্বরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার যোগাযোগের দক্ষতা এবং জনসাধারণের সাথে যোগাযোগের ক্ষমতার জন্য শিরোনাম দখল করেছেন। জুহি তার পিতার প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যার ফলে কংগ্রেস গুড়গাঁওয়ে প্রভাবশালী সাফল্য অর্জন করে।
আসন সংরক্ষণের ফলে পরিবর্তিত সমীকরণ
গুড়গাঁও পৌর নিগমের নির্বাচনে মেয়র পদ BC (A) শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। এই সংরক্ষণ অনেক প্রধান প্রার্থীকে হতাশ করেছে, যারা গত কয়েক মাস ধরে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন। বিজেপির প্রায় ১০ জন প্রভাবশালী নেতা এই পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু সংরক্ষণের পরে এখন প্রতিযোগিতা সীমিত হয়েছে। কংগ্রেসও এই পরিস্থিতিতে জুহি বব্বরকে প্রার্থী করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে দলের শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।
উভয় প্রার্থীর ক্ষমতার উপর আলোচনা
উষা প্রিয়দর্শী এবং জুহি বব্বর, উভয়ই যোগাযোগের দক্ষতায় পারদর্শী এবং সাইবার সিটির মেয়র পদে উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উভয়ের নির্বাচনে অংশগ্রহণ সাইবার সিটির উন্নয়ন এবং রাজনীতির জন্য একটি ভালো লক্ষণ হবে। তবে, বিশেষজ্ঞদের এও মনে হয় যে মেয়র পদটি সাধারণ হওয়া উচিত ছিল, যাতে প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এই নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় জনগণ কাকে তাদের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।