দিল্লির বর্জ্যে আগুনের ঘটনা বৃদ্ধি, প্রদূষণের তীব্রতা বেড়েছে। মার্চ মাসে অগ্নি নির্বাপণ বিভাগ ৭২০-এর বেশি কল পেয়েছে, যখন গত বছর ছিল মাত্র ৩৮০।
দিল্লি সংবাদ: দিল্লির বাতাস আবারও মারাত্মকভাবে দূষিত হয়েছে এবং এর প্রধান কারণ হল বর্জ্যে আগুন লাগার ঘটনার বৃদ্ধি। দিল্লি অগ্নি নির্বাপণ বিভাগের প্রতিবেদনের মতে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে শুধুমাত্র বর্জ্যে আগুন লাগার ঘটনার জন্য ৭২০-এর বেশি কল এসেছে, যখন ২০২৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩৮০। এই বৃদ্ধি শুধুমাত্র বায়ু দূষণকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে না, বরং বৃদ্ধবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে।
আগুন থেকে বিষাক্ত বাতাস: দিল্লির দূষণে ব্যাপক প্রভাব
অগ্নি নির্বাপণ বিভাগের মতে, বর্জ্য পোড়ানো থেকে নির্গত ধোঁয়া সরাসরি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, যার ফলে হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং হৃদরোগের মতো রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এটি বিশেষ করে স্মগ সিজনের সময় দূষণের মাত্রাকে আরও বেশি গুরুতর করে তোলে।
সংখ্যা বৃদ্ধি: ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি
জানুয়ারী ২০২৫: ১৪৭ টি কল বর্জ্য পোড়ানোর জন্য
ফেব্রুয়ারী ২০২৫: ২৭২ টি কল
মার্চ ২০২৫: ৭২০ টি কল (রেকর্ড স্তর)
৩ এপ্রিল পর্যন্ত: ১২৫ টি কল
মোট অগ্নি নির্বাপণ কলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে — ২০২৫ সালের মার্চ মাসে ২৯৫১ টি কল রেকর্ড করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০০ বেশি।
অগ্নি নির্বাপণ বিভাগের প্রস্তুতি তীব্র
দিল্লি অগ্নি নির্বাপণ বিভাগের উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার তোমার জানিয়েছেন যে, আগুনের ঘটনার বৃদ্ধি বিবেচনা করে অতিরিক্ত অগ্নি নির্বাপণ দল মোতায়েন করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগুন প্রাথমিক পর্যায়েই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, যার ফলে বড় ধরনের ঘটনা এড়ানো গেছে।
স্বাস্থ্য ও জলবায়ুতে প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমাগত বর্জ্য পোড়ানো শুধুমাত্র বায়ুমান সূচক (AQI) নয়, গ্লোবাল ওয়ার্মিংকেও প্রভাবিত করে। দিল্লির মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের আকার নিতে পারে।