বিয়ের ১২ দিন পর ইন্দোর ব্যবসায়ীর রহস্যময় হত্যা: স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

🎧 Listen in Audio
0:00

ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর বিয়ে ঠিক ১২ দিন পর মেঘালয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার স্ত্রী সোনম এবং তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

Sonam case: মেঘালয়ে হানিমুন ট্রিপের সময় ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর রহস্যময় হত্যা পুলিশের সামনে নতুন নতুন প্রশ্ন তুলে ধরেছে। প্রথমে এটি একটি প্রেম-তৃভুজ এবং সুপারি কিলিং হিসেবে ধরা পড়েছিল, যেখানে রাজার স্ত্রী সোনম এবং তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা প্রধান আসামী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। কিন্তু এখন পুলিশের সন্দেহ হচ্ছে যে, গল্পটি আরও জটিল।

বিয়ের ১২ দিন পরই হত্যা, পুলিশ অবাক

রাজা রঘুবংশীর বিয়ে হয়েছিল ১১ মে সোনমের সাথে এবং ২১ মে উভয়ে মেঘালয়ে পৌঁছে। কিন্তু ২৩ মে উভয়ে হঠাৎ করেই হোমস্টে থেকে চেকআউট করে নিখোঁজ হয়ে যায়। কয়েক দিনের মধ্যেই খাদে রাজার মৃতদেহ পাওয়া যায় এবং এই ঘটনা হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয়। পুলিশের প্রশ্ন, কি কোনও স্ত্রী বিয়ের মাত্র ১২ দিন পর এত বড় ষড়যন্ত্র করতে পারে?

শুধু প্রেমিক নয়, আর্থিক কারণও সন্দেহের আওতায়

পুলিশ এখন তদন্ত করছে যে, হত্যার পিছনে কি আর্থিক কারণ ছিল। রাজার নামে কি কোনও বীমা ছিল নাকি সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল? সোনম বা তার পরিবার কি কোনও লাভের আশা করেছিল? পুলিশ এখন আর্থিক রেকর্ড, ব্যাংক লেনদেন এবং সম্পত্তির কাগজপত্রের তদন্ত ত্বরান্বিত করেছে।

রাজার পরিবারের অভিযোগ

রাজার পিতা অশোক রঘুবংশী দাবি করেছেন যে, সোনমের বাবা-মা এবং ভাইয়েরও নারকো টেস্ট করা উচিত। তিনি দাবি করেছেন যে, বিয়ের ঠিক পরেই সোনম ঘরে তন্ত্র-মন্ত্রের সাথে জড়িত একটি অদ্ভুত পোটলি ঝুলিয়েছিল। পরিবারের সন্দেহ, এগুলি কোনও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।

ফোন কল থেকে গ্রেফতারির পথ উন্মোচিত

হত্যার পর সোনম গাজীপুর থেকে তার ভাইকে ফোন করেছিল, যার ফলে তার অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এই ফোন কলই তার গ্রেফতারের ভিত্তি হয়ে ওঠে। পুলিশ এখন বুঝতে চাইছে যে, সোনম কেন ফোন করেছিল—কি সে ভয়ে ছিল নাকি কোনও চাপের মধ্যে ছিল?

কি সোনম নিজেই কোনও চাপের মধ্যে ছিল?

একটি গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত হলো, কি সোনম কোনও বড় দল বা ব্যক্তির চাপের মধ্যে ছিল কিনা। কি তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল? পুলিশ এই দিক থেকে তার এবং রাজ কুশওয়াহার মধ্যে আগের আলাপচারিতা এবং তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত খতিয়ে দেখছে।

স্পেশাল টিম তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে

মেঘালয় পুলিশ এই মামলার জটিলতাকে বিবেচনা করে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে। SIT ঘটনাস্থলে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করছে যাতে জানা যায় হত্যা কীভাবে এবং কী পরিস্থিতিতে হয়েছিল।

তদন্তে আসামীদের মোবাইল কল ডিটেইলস, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং অবস্থানের তথ্যের গভীর তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ বুঝতে চাইছে কখন, কে কোথায় ছিল এবং কার সাথে যোগাযোগ ছিল। ডিজিটাল ফরেনসিকের সাহায্যে নতুন সুত্র পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

Leave a comment