মধ্যপ্রদেশের রাজধানীতে মেট্রো প্রকল্প এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইন্দোরে মেট্রো ট্রায়ালের পর এখন ভোপাল মেট্রোতে সরকারের পুরো ফোকাস। মেট্রো রেল চালু হওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো CMRS (কমিশনার অফ মেট্রো রেল সেফটি) টিমের পরিদর্শন, এবং এর জন্য প্রস্তুতি তীব্র গতিতে চলছে।
সূত্রমতে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোপাল মেট্রোর হাবিবগঞ্জ, AIIMS এবং সুভাষ নগর স্টেশনে CMRS টিম পরিদর্শন করবে। এর আগে এই তিনটি স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে দিনরাত কাজ চলছে।
২০২৫ সালের শেষের মধ্যে পুরোদমে চালু হওয়ার আশা
ভোপাল মেট্রোর এই লাইন মোট ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে, যার প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার রুট তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে হাবিবগঞ্জ থেকে সুভাষ নগর পর্যন্ত লাইনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে কারণ এই অংশটিই ট্রায়াল এবং জনসাধারণের জন্য প্রথমে প্রস্তুত হবে। ভোপাল মেট্রোর তিনটি প্রধান স্টেশন – হাবিবগঞ্জ, AIIMS এবং সুভাষ নগর – এ নির্মাণ কাজ এখন প্রায় ৮০% শেষ হয়েছে।
এই স্টেশনগুলিতে এস্কেলেটর, টিকিট মেশিন, সুরক্ষা ক্যামেরা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি লাগানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি সিগন্যালিং এবং অটোমেটিক কন্ট্রোল সিস্টেমের পরীক্ষাও শুরু হয়েছে।
CMRS পরিদর্শন কেন জরুরী?
CMRS অর্থাৎ কমিশনার অফ মেট্রো রেল সেফটি টিমের পরিদর্শনকে যেকোনো মেট্রো প্রকল্পের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন বলে মনে করা হয়। এই টিম সকল প্রযুক্তিগত, সুরক্ষা, গঠন এবং পরিচালন মানের গভীরতার সাথে তদন্ত করে। ভোপাল মেট্রো যদি আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই অনুমোদন পায়, তাহলে ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে মেট্রোর বাণিজ্যিক চালু হতে পারে।
ইন্দোর থেকে পাওয়া শিক্ষা, এখন ভোপালে প্রয়োগ
ইন্দোরে মেট্রোর প্রথম ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে ভোপাল মেট্রো প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইন্দোরে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল, যা ভোপালে পূর্বেই বিবেচনা করে কাজ করা হচ্ছে। মেট্রো কর্মকর্তাদের মতে, ইন্দোরের অভিজ্ঞতা এখন ভোপালের জন্য উপকারী হবে।
জনতার মেট্রোতে আশা
ভোপালের স্থানীয় বাসিন্দারা মেট্রো নিয়ে বেশ উৎসাহিত। হাবিবগঞ্জের ব্যবসায়ী বিনোদ চৌহান বলেন, "যদি মেট্রো সময়ে চালু হয় তাহলে মানুষের ট্রাফিকের কষ্ট কমবে এবং শহরের গতি বদলাবে।" অন্যদিকে, AIIMS-এ পড়ুয়া ছাত্র নমন জৈন বলেন, "মেট্রোর দ্বারা আমাদের কলেজ যাতায়াত সহজ হবে এবং সময়েরও সাশ্রয় হবে।"
যদিও প্রকল্পে অগ্রগতি হচ্ছে, তবে বৃষ্টি এবং মৌসুমি বৃষ্টিপাতের শুরু নির্মাণ কাজে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, কিছু এলাকায় জমি অধিগ্রহণ এবং যানবাহন ডাইভারশন নিয়ে স্থানীয়রা অসন্তুষ্ট। প্রশাসনের দাবি, সকল সমস্যার সমাধান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে।