অযোধ্যায় ভব্য রাম মন্দির নির্মাণের পর এবার ভগবান রামের দরবারও সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে গেছে। এই দরবার ‘রাম দরবার’ নামে প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে ভগবান রামের সাথে মা সীতা, লক্ষ্মণ এবং হনুমানজির প্রতিমা বিরাজমান থাকবে।
অযোধ্যা: প্রভু শ্রী রামের জন্মভূমি অযোধ্যা আরেকটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রামললার প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় বছর পর, এবার ভগবান শ্রী রামের ‘রাজা রাম’ রূপের প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। এই অনুষ্ঠান রাম মন্দিরের প্রথম তলায় অবস্থিত ভব্য রাম দরবারে অনুষ্ঠিত হবে, যার নির্মাণ কাজ এখন সম্পূর্ণ হয়েছে।
রাম দরবারের স্বরূপ
এই রাম দরবার জয়পুরের সাদা মকরানা মার্বেল দিয়ে তৈরি এবং এতে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান এবং ভরত-শত্রুঘ্নের মূর্তি স্থাপন করা হবে। এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিখ্যাত মূর্তিশিল্পী প্রশান্ত পাণ্ডে, যার দলে ২০ জন দক্ষ শিল্পী রয়েছেন। শ্রী রাম মন্দিরের প্রথম তলায় নির্মিত এই দরবারটি সম্পূর্ণ ভব্যতার সাথে উপস্থাপন করা হবে, যাতে ভক্তরা প্রভুর ‘রাজা রূপ’-এর দর্শন করতে পারেন।
অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাম্প্রতিক বৈঠকে অভিষেক অনুষ্ঠানের রূপরেখা এবং প্রস্তুতির পর্যালোচনা করা হয়েছে। ট্রাস্টের মহাসচিব চম্পত রায়কে তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র মতে, এই অনুষ্ঠান ২২ জানুয়ারী ২০২৪-এর ভব্য অনুষ্ঠানের মতো বিশাল হবে না, তবে আবেগগত এবং ধর্মীয় দিক থেকে ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হবে।
এই অনুষ্ঠানকে মন্দির নির্মাণের একটি প্রতীকী সমাপ্তি হিসেবেও দেখা হচ্ছে, কারণ রামললার মূর্তি স্থাপনের পর এখন রাজা রাম রূপে প্রভুর রাজ্যাভিষেকের পর্যায় সম্পূর্ণ হতে চলেছে।
মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি
মন্দির নির্মাণ কমিটির সভাপতি নৃপেন্দ্র মিশ্রের মতে, মন্দির চত্বরের মূল নির্মাণ কাজ এই মাসের শেষের দিকে শেষ হবে, আর প্রাচীর (সুরক্ষা দেওয়াল) এবং অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধন কাজ বছরের শেষের দিকে শেষ হবে। এছাড়াও ২০ একর জমির হরিত সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে, যাতে মন্দির চত্বর আরও অধিক দিব্য ও প্রাকৃতিক দেখাবে।
মন্দির চত্বরে রামচরিতমানসের রচয়িতা গোস্বামী তুলসীদাসের একটি বিশাল প্রতিমাও স্থাপন করা হচ্ছে, যার ফলে রামায়ণের ভক্তিকালীন রূপ এবং শ্রী রামের মর্যাদা পুরুষোত্তম অবতারের গুরুত্ব আরও বেশি উজ্জ্বল হবে।