ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ধোনির ভূমিকা: টেরিটোরিয়াল আর্মি এবং সামরিক প্রস্তুতি

🎧 Listen in Audio
0:00

এমএস ধোনি টেরিটোরিয়াল আর্মিতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং সম্মানসূচক পদে আছেন। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ধোনিরও সাহায্য করতে হবে।

India Pakistan Tension: ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং টেরিটোরিয়াল আর্মির মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে নতুন দিক নির্দেশিত হয়েছে। এই নোটিফিকেশনের অধীনে, এখন নিয়মিত সেনাবাহিনী টেরিটোরিয়াল আর্মির সাহায্য নিতে পারবে, যার অর্থ হল যুদ্ধের পরিস্থিতিতে টেরিটোরিয়াল আর্মির সৈন্যদের সক্রিয়ভাবে জড়িত করা যেতে পারে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যারা টেরিটোরিয়াল আর্মির অংশ, এবং একটি প্রশ্ন যা বর্তমানে দেশজুড়ে উঠছে তা হল - "এমএস ধোনি, যিনি টেরিটোরিয়াল আর্মিতে সম্মানসূচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন কি?"

কি টেরিটোরিয়াল আর্মি এবং এমএস ধোনির ভূমিকা?

টেরিটোরিয়াল আর্মি একটি রিজার্ভ সামরিক বাহিনী, যা যুদ্ধের সময় সক্রিয় করা হয়। এটি সেনাবাহিনীর নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরে থাকে, কিন্তু কোনও সংকট বা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এটিকে অবিলম্বে সামনে পাঠানো যেতে পারে। টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা নিয়মিত সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগিতা করে এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে।

এমএস ধোনি, যিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং ভারতের সবচেয়ে সফল ক্রিকেটারদের অন্যতম, টেরিটোরিয়াল আর্মিতে সম্মানসূচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল। তিনি তার আর্মির প্রশিক্ষণও সম্পূর্ণ করেছেন, এবং এখন এই খবর আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে যে বর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ধোনিকেও তার আর্মির ভূমিকা পালন করতে হবে কি।

ধোনির অবসর এবং বর্তমান অবস্থা

ধোনি ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন, এবং সম্প্রতি আইপিএল ২০২৩-এর পর থেকে তিনি পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন। বর্তমানে তার অধিকাংশ সময় ফাঁকা, এবং যেহেতু তিনি একজন প্রশিক্ষিত আর্মি অফিসার, এই সময় তাঁর সেবা প্রদানের একটি ভালো সুযোগ থাকতে পারে।

যদি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে এবং যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ধোনির জন্য এটি সময় হতে পারে তার আর্মি সেবা দেশের সেবায় নিয়োজিত করার।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বড় সিদ্ধান্ত

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এই নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে যে সেনাপ্রধানের এখন এমন অধিকার থাকবে যে তিনি টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যকে যুদ্ধ বা অন্যান্য সামরিক অভিযানে যুক্ত করতে পারবেন। এটি এই ইঙ্গিতও দেয় যে যদি পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়, তাহলে এমএস ধোনি সহ অন্যান্য টেরিটোরিয়াল আর্মির কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর সাথে মিলে কাজ করবেন।

টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রশিক্ষণ এবং কর্মক্ষেত্র

টেরিটোরিয়াল আর্মিতে যোগদানকারী সকল সৈন্যদের নিয়মিত সেনাবাহিনীর মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে সংকটের সময় তারা যেকোনো ধরণের সামরিক সাহায্য প্রদান করতে পারে। এই সৈন্যদের প্রধান কাজ হল সেনাবাহিনীকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা, যেমন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, কাউন্টার টেররিজম অপারেশন, এবং প্রয়োজন হলে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা।

এমএস ধোনির সামরিক সেবা

ধোনির কাছে একজন আর্মি অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ আছে, এবং তিনি ইতিমধ্যে তার কঠোর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই দিকে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। টেরিটোরিয়াল আর্মির সম্মানসূচক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে ধোনি ইতিমধ্যেই তার নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়েছেন, এবং প্রয়োজন হলে তিনি তার সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

Leave a comment