বাঁকায় বৌসি থানা এলাকায় পুলিশ গাড়ি চেকিংয়ের সময় দুটি স্কর্পিও গাড়ি থেকে ৬০৯.১২ লিটার অবৈধ মদ উদ্ধার করে এবং চারজন মদপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। বৌসি ইন্সপেক্টর রতন রাজ ও থানার অধ্যক্ষ সুধীর কুমারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বাঁকা: বিহারের বাঁকা জেলার বৌসি থানা এলাকায় পুলিশ বড় সাফল্য অর্জন করেছে। রাতের বেলায়, গাড়ি চেকিং অভিযানের সময় পুলিশ দুটি স্কর্পিও গাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ মদ উদ্ধার করে এবং চারজন মদপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। মদপাচারের বিরুদ্ধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা পুলিশের কঠোর অভিযানের প্রমাণ।
কীভাবে গ্রেফতার করা হলো তাদের?
পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল যে দুটি স্কর্পিও গাড়িতে অবৈধ মদের চালান বিহারে আনা হচ্ছে। এই তথ্যের পর বৌসি ইন্সপেক্টর রতন রাজ ও থানার অধ্যক্ষ সুধীর কুমারের নেতৃত্বে পুলিশ একটি কৌশল তৈরি করে এবং রাতের বেলায় চেকিং অভিযান শুরু করে। যখনই দুটি গাড়ি চেকিং পয়েন্টে পৌঁছায়, পুলিশ তাদের থামার নির্দেশ দেয়। কিন্তু মদপাচারকারীরা ভয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর পুলিশ তাদের পিছনে ছুটে দুটি গাড়িই ধরে ফেলে।
কত মদ উদ্ধার করা হয়েছে?
এই অভিযানে পুলিশ মোট ৬০৯.১২ লিটার বিদেশি মদ উদ্ধার করেছে। এই মদ ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সীমান্ত থেকে বিহারে পাচার করা হচ্ছিল। মদটি বিহারে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য ব্যবহার করা হবে। পুলিশ দুটি স্কর্পিও গাড়ি জব্দ করে এবং চারজন মদপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের পরবর্তী তদন্ত ও আইনি পদক্ষেপ
পুলিশ গ্রেফতারকৃত মদপাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং এই পাচারের পেছনে কোন বড় নেটওয়ার্কের হাত থাকতে পারে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এটি একটি বড় মদপাচারের ঘটনা হতে পারে, যেখানে ঝাড়খণ্ড ও বাংলার মদপাচারকারীরা জড়িত। পুলিশ এখন এই নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস করার চেষ্টা করছে।
পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা অভিযান অব্যাহত
এই পুরো অপারেশনে বৌসি পুলিশের সাথে একটি বিশেষ দলও ছিল, যারা মদপাচারকারীদের গাড়ি ঘিরে তাদের ধরেছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে মদপাচারকারীদের প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হবে, যাতে তারা পালানোর সুযোগ না পায়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই অভিযানে মদপাচারকারীদের ধরার জন্য পুরো কৌশলটি পূর্ণরূপে প্রয়োগ করা হয়েছিল।
এরপর এখন এই মামলায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযান আরও অব্যাহত থাকবে, যাতে মদপাচারের মতো অপরাধগুলি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এলাকায় শান্তি বজায় থাকে।
বিহারে মদপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান: পুলিশের কঠোর নজরদারি
বৌসির ইন্সপেক্টর রতন রাজ এই বড় সাফল্যের পর মিডিয়ার সাথে কথা বলে বলেন, 'আমরা এবার মদপাচারকারীদের কঠোর চ্যালেঞ্জ দিয়েছি এবং তাদের ধরে ফেলেছি। এই অভিযান দিয়ে মদপাচারকারীদের একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়া হয়েছে যে আমরা তাদের অবৈধ কার্যকলাপকে কোনো অবস্থাতেই বাড়তে দেব না। এটি জেলায় মদপাচারের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর কৌশলের অংশ।
আমরা এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখব যাতে পাচার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যায় এবং আমাদের এলাকায় শান্তি বজায় থাকে। পুলিশের এই অভিযান অপরাধীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা যে আমরা সর্বাবস্থায় আইন প্রয়োগ করব।'
এলাকায় মদপাচারের বিরুদ্ধে আতঙ্ক
বাঁকা পুলিশের এই বড় অভিযানের ফলে এলাকায় মদপাচারকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখায় যে পুলিশ এখন মদপাচারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হয়ে উঠেছে। আগের তুলনায় পুলিশের কৌশল ও তদন্ত প্রক্রিয়া অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে, যা মদপাচারকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পুলিশের কঠোর অভিযানের ফলে মদপাচারকারীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং তারা তাদের অবৈধ কার্যকলাপ ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে পারে।
এই অভিযান এটাও দেখায় যে পুলিশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ক্রমাগত সতর্ক রয়েছে। এখন মদপাচারকারীরা বুঝতে পারবে যে তাদের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য পুলিশ যে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে।