আম আদমি পার্টি (আপ) রাজনৈতিক পরিবর্তনকে আরও জোরদার করার এবং তরুণদের মূলস্রোতে যুক্ত করার উদ্দেশ্যে এসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ফর অল্টারনেটিভ পলিটিক্স (ASAP) নামক একটি ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর আম আদমি পার্টি (AAP) নিজেকে নতুন করে গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দল একটি নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের ঘোষণা করেছে, যার অধীনে ছাত্র ও তরুণরা সরাসরি আম আদমি পার্টির সাথে যুক্ত হতে পারবেন। এই উদ্যোগের নাম ASAP অর্থাৎ এসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ফর অল্টারনেটিভ পলিটিক্স।
দলের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানসহ ASAP-এর উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই পোস্টে AAP দাবি করেছে যে, গত ১৩ বছরে দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কাজ করেছে এবং এখন ছাত্র ও তরুণদের মাধ্যমে এই পরিবর্তন আরও গভীরে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ASAP-এর উদ্দেশ্য কী?
AAP-এর মতে, ASAP একটি এমন মঞ্চ হবে, যার মাধ্যমে ছাত্র ও তরুণরা দেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে দল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং তরুণদের অন্যান্য সম্প্রদায়ের কাছে তাদের আদর্শ পৌঁছে দিতে চায়। ASAP-এর উদ্দেশ্য হলো নিশ্চিত করা যে, নতুন প্রজন্ম শুধু ভোট দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং নীতি-নির্ধারণ এবং জনস্বার্থের বিষয়গুলিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
দলের বিশ্বাস, ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ, এবং যদি তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা, চিন্তাধারা এবং মঞ্চ পাওয়া যায়, তাহলে তারা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
নির্বাচনী পরাজয়ের পর আত্মমর্ম্মশোধন
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি অত্যন্ত হতাশাজনক ফলাফল পেয়েছে। দল শুধু আসন জেততে ব্যর্থই হয়নি, বরং তাদের প্রার্থীরা অনেক জায়গায় তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে থেকেছে। এর পর থেকে দলের ভেতরে ও বাইরে অনেক প্রশ্ন উঠেছে যে, AAP এখন তাদের মূল আদর্শ ও জনসমর্থন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
ASAP-এর উদ্যোগকে এই প্রেক্ষাপটে দলের একটি ‘কোর্স করেকশন’ হিসেবে দেখা যেতে পারে। দল এখন সেই শ্রেণীকে যুক্ত করতে চায় যারা আগামী বছরগুলিতে ভোটার এবং নেতা উভয় ভূমিকাতেই থাকতে পারে, অর্থাৎ দেশের তরুণ শ্রেণী।
AAP দাবি করেছে যে, ASAP-এর সাথে যুক্ত ছাত্ররা রাজনৈতিক আলোচনা, নীতি বিশ্লেষণ, জনসাধারণের সাথে যোগাযোগ এবং নেতৃত্ব বিকাশের মতো অনেক সুযোগ পাবে। ছাত্ররা ক্যাম্পাস পর্যায়ে ছাত্র সংসদের জন্য কাজ করতে পারবে, সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারবে এবং স্থানীয় সমস্যা নিয়ে নীতিগত পরামর্শ প্রস্তুত করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।