শনিবার দিনদুপুরে লখনউয়ের ইন্দিরানগরের সেক্টর-২০-এ দুষ্কৃতীরা এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। সেবায়ুক্ত আইএএস দেবেন্দ্র দুবে’র স্ত্রী মোহিনী দুবে’র হত্যা করে লুটপাট করে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার সময় দেবেন্দ্র দুবে তার চালকের সাথে গল্ফ খেলতে গাড়িতে বেরিয়েছিলেন, ঠিক তখনই নীল রঙের স্কুটিতে করে দুষ্কৃতীরা এসে সমাজে প্রবেশ করে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ৪৫ মিনিটের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
কত টাকার লুটপাট?
দেবেন্দ্র দুবে সাবকুজ-এর সাথে কথোপকথনের সময় জানান যে, কিছু গয়না হারিয়ে গেছে, কিন্তু কত টাকার গয়না ছিল তা স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি। স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত, সে কারণেই বিস্তারিত তথ্য দিতে পারছেন না। তিনি জানান, তার স্ত্রী গয়না পরে ছিলেন, কিন্তু দুষ্কৃতীরা শুধুমাত্র একটি হীরার আংটি নিয়ে গেছে। অন্যান্য গয়না তারা নেয়নি। এই পাঁচ লক্ষ টাকার হীরার আংটিটি দেবেন্দ্র কয়েক মাস আগে মোহিনীর জন্মদিন উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।
২০০৭ সালে দ্বিতীয় বিবাহ
২০০৭ সালে দেবেন্দ্র দুবে মোহিনীর সাথে দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী মীনার ২০০৪ সালে মৃত্যু হয়েছিল। একাকীত্ব কাটাতে তিনি তিন বছর পর মোহিনীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মোহিনী একজন মহিলা স্বাধীনতা সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। দেবেন্দ্র দুবে ২০০৯ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রীর সাথে তার দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলের নাম প্রাঞ্জল, যিনি পরিবারের সাথে নয়ডায় থাকেন।
ঘটনার সময়ক্রম
সকাল ৭:০০ টা: দেবেন্দ্র তার চালক রবির সাথে গাড়িতে করে গল্ফ খেলতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
সকাল ৭:১২ টা: দুধওয়ালা বাড়িতে দুধ দিতে এসেছিল।
সকাল ৭:১৫ টা: দুষ্কৃতীরা স্কুটিতে করে সমাজে এবং তারপর বাড়িতে প্রবেশ করে।
সকাল ৮:০০ টা: দুষ্কৃতীরা হত্যা ও লুটপাট করে পালিয়ে যায়।
সকাল ৯:৩০ টা: দেবেন্দ্র বাড়ি ফিরে তার স্ত্রী মোহিনীর মৃতদেহ দেখতে পান।
সকাল ৯:৪০ টা: রবি নিকটস্থ থানায় ঘটনার খবর দেয়।
সকাল ১০:৫৫ টা: পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।