আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। ভারত এর বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে, পাকিস্তান এটি সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারে। আইএমএফ বলেছে, সকল নিয়ম মেনে এই ঋণ দেওয়া হয়েছে।
আইএমএফ-পাকিস্তান: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সম্প্রতি পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে, যা পূর্বের ৭ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজের অংশ। এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত আইএমএফ-এর কাছে আবেদন করেছিল সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিতকারী দেশকে অর্থ সাহায্য না করার জন্য। ভারতের ধারণা, পাকিস্তান এই অর্থ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করতে পারে।
ভারতের আপত্তি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিবৃতি
ভারত আইএমএফ-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং কিছুদিন আগে এক বিবৃতিতে এমনকি বলেছিলেন যে, আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত ঋণের ১৪ কোটি টাকা সন্ত্রাসী মাসুদ আজহারকে দেওয়া হবে। ভারত এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আইএমএফ-এর পক্ষ: নিয়ম অনুযায়ী সাহায্য প্রদান
এই সকল আপত্তির পরও আইএমএফ তাদের পক্ষ তুলে ধরে বলেছে যে, ঋণ কেবলমাত্র সেইসব দেশকে দেওয়া হয় যারা নির্ধারিত নিয়ম এবং শর্তাবলী পূরণ করে। আইএমএফ বোর্ড স্পষ্ট করেছে যে তারা সন্তুষ্ট যে পাকিস্তান ঋণের জন্য নির্ধারিত সকল অর্থনৈতিক লক্ষ্য এবং শর্তাবলী পূরণ করেছে।
দ্রুত সম্পন্ন পর্যালোচনা প্রক্রিয়া
আইএমএফ জানিয়েছে যে, মূলত এই পর্যালোচনা ২০২৫ সালের শুরুতে করা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পাকিস্তান তুলনামূলকভাবে দ্রুত সকল মানদণ্ড পূরণ করেছে, তাই প্রক্রিয়াটি আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এই ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করা হয়েছে।
ঋণের ব্যবহার: আইএমএফ কী বলেছে?
আইএমএফ যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক জুলি কোজাক স্পষ্ট করেছেন যে, আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত তহবিল সরকারি ব্যয়ের জন্য নয়। তিনি জানিয়েছেন যে, এই অর্থ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভান্ডারে যায় এবং এটি কেবলমাত্র भुगतान संतुलन सुधारने के लिए ব্যবহার করা হয়, সরকারী প্রকল্পের জন্য নয়। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ দেওয়ার কোন সীমা নেই।
নতুন শর্তাবলীর তালিকা: মোট ৫০টি শর্ত
আইএমএফ আরও বলেছে যে, পরবর্তী কিস্তি পাওয়ার জন্য পাকিস্তানকে মোট ৫০টি শর্ত পূরণ করতে হবে, যার মধ্যে ১১টি নতুন শর্ত সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে। যদি পাকিস্তান এই শর্তাবলী পূরণ না করে, তবে পরবর্তী কিস্তি বন্ধ হতে পারে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে ঝুঁকি বলে চিহ্নিত
আইএমএফ স্বীকার করেছে যে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধমান উত্তেজনা এই আর্থিক কর্মসূচির জন্য একটি বড় ঝুঁকি। এটি দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি সংঘটিত হিংস্র ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছে।