দিশা সালিয়ান মামলার আপডেট: সুশান্ত সিং রাজপুতের ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যু মামলায় অদিত্য থাকরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যদি তদন্ত গভীরভাবে হয়, তাহলে তার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তবে, উদ্ধব থাকরে এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেছেন যে অদিত্য নির্দোষ।
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর ঘটনা আবারও শিরোনামে। দিশার পিতার হাইকোর্টে দায়ের করা মামলার পর এই মামলায় নতুন মোড় আসতে পারে। বিশেষ করে অদিত্য থাকরের বিরুদ্ধে উঠেছে এমন গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তবে, উদ্ধব থাকরে এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন।
দিশার পিতার গুরুতর অভিযোগ
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দিশার পিতা হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় বলেছেন যে ২০২০ সালের ৮ই জুন রাতে মুলাদে অবস্থিত দিশা সালিয়ানের বাড়িতে একটি পার্টি হচ্ছিল। এই পার্টিতে তার বর রোহন রায় এবং তার বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে অদিত্য থাকরে সেখানে পৌঁছান, তার সাথে অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলি এবং ডিনো মোরিয়াও ছিলেন। দিশার পিতার অভিযোগ, সেই রাতেই দিশার সাথে গ্যাংরেপ করা হয়েছিল এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন
এই মামলায় দিশা সালিয়ানের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে রিপোর্ট থেকে ধর্ষণের উল্লেখ সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ঠিক মতো পোস্টমর্টেম না করেই শবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে সে সময়ের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এই মামলাটি ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি অভিযোগ উঠেছে যে দিশার মৃত্যুর পর অদিত্য থাকরে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করেছিলেন।
পুলিশ রেকর্ডে কি রয়েছে?
পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী, দিশা সালিয়ানের মৃত্যু ১৪তম তলা থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে হয়েছিল, কিন্তু এত উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন না থাকা অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করে। এছাড়াও, মামলায় দাবি করা হয়েছে যে দিশার বিল্ডিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজ ধ্বংস করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে তদন্তের সময় অভিযুক্তদের মোবাইল লোকেশন যাচাই করা হয়নি। দিশার পিতা আদালতের কাছে দাবি করেছেন যে অদিত্য থাকরের মোবাইল লোকেশন এবং কল ডিটেল রেকর্ড (সিডিআর) প্রকাশ করা উচিত।
অদিত্য থাকরে এবং উদ্ধব থাকরের ব্যাখ্যা
এই গুরুতর অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অদিত্য থাকরে বলেছেন যে গত পাঁচ বছর ধরে তাকে बदनाम করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে তিনি আদালতে এই সব অভিযোগের জবাব দেবেন। অন্যদিকে, উদ্ধব থাকরে এই অভিযোগগুলি মিথ্যা বলে উল্লেখ করে বলেছেন যে যদি কারও কাছে প্রমাণ থাকে, তাহলে তাকে আদালতে উপস্থাপন করা উচিত। তিনি আরও বলেছেন যে তার পরিবারের বহু প্রজন্ম মহারাষ্ট্রের জন্য কাজ করেছে এবং এই বিষয়ের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই।
ন্যায় পাওয়া যাবে কি?
দিশা সালিয়ানের পিতার হাইকোর্টে দায়ের করা মামলার ফলে এই মামলায় নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো আদালত এ ব্যাপারে কী রায় দেয় এবং এই মামলার পুনরায় গভীর তদন্ত হবে কি না। যদি তদন্ত নতুন করে হয় এবং অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হয়, তাহলে অদিত্য থাকরের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।