সাইফ আলি খান আক্রমণ মামলায় চমকপ্রদ উদ্ঘাটন! আক্রমণের আগে অভিযুক্ত তার মালিকের কাছে ১০০০ টাকা চেয়েছিল। বান্দরবানী নাগরিক হিসেবে পরিচয় গোপন করে কাজ করছিল আক্রমণকারী। জানুন পুরো ঘটনা এবং পুলিশ তদন্তের সর্বশেষ আপডেট।
মনোরঞ্জন ডেস্ক: সাইফ আলি খান আক্রমণ মামলায় পুলিশের তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রমণের আগে অভিযুক্ত তার পূর্ব নিয়োগকর্তার কাছে ১০০০ টাকা চেয়েছিল। এজেন্সির সুপারভাইজার অমিত পান্ডে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত টেলিফোনে টাকার প্রয়োজনের কথা জানিয়ে, পরে রোহিত যাদব নামের এক সহযোগীর মোবাইল থেকে ফোন করে PhonePe-এর মাধ্যমে টাকা চেয়েছিল।
হাউসকিপিং এজেন্সিতে লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশী নাগরিক, পরিচয় গোপন করে কাজ করছিল
তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত তার আসল পরিচয় গোপন করে ‘বিজয় দাস’ নামে মুম্বাইয়ে হাউসকিপিং-এর কাজ শুরু করেছিল। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ‘শ্রী ওম ফ্যাসিলিটি সার্ভিসেস’ নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন হোটেলে কাজ করত। দলিলপত্র জমা না দেওয়ার পরও তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। পরে টেলিভিশনে তার মুখ দেখার পর তার মালিক তার আসল পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেন।
বিভিন্ন স্থানে কাজ করত, হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল
বিজয় অর্থাৎ মোহাম্মদ শরিফুল প্রথমে ওয়ারলি কোলিওয়াড়ার একটি পাব-এ চার মাস কাজ করে। পরে তাকে থানের হিরানন্দানী এস্টেটের একটি হোটেলে পাঠানো হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে কাজ করার পর প্রভাদেবী এবং পরে বান্দ্রা ওয়েস্টের একটি হোটেলে চাকরি করে। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারির পর থেকে সে হঠাৎ কাজে আসা বন্ধ করে দেয়। ফোন বন্ধ ছিল এবং পরে একটি অজানা নম্বর থেকে কল করে সে পুলিশ স্টেশনে থাকার কথা বলে।
টেলিভিশনে ছবি দেখে মালিক সন্দেহ পোষণ করেন, তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়
১৮ জানুয়ারির রাতে যখন টেলিভিশনে সাইফ আলি খানের উপর হামলার খবর চলে এবং অভিযুক্তের ছবি দেখানো হয়, তখন এজেন্সির সুপারভাইজার বুঝতে পারেন যে ওই ব্যক্তিই ‘বিজয় দাস’ নামে তাদের কাছে কাজ করত। পরের দিনই তিনি পুলিশে তথ্য দিয়েছিলেন। পরে তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্তের আসল নাম মোহাম্মদ শরিফুল সাজ্জাদ রোহুল আমিন ফকির এবং সে বাংলাদেশী নাগরিক, যে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিল।
পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সাইফের উপর হামলাকারী সন্দেহভাজন
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই হামলার অভিযুক্তকে আটক করেছে। এখন তার পটভূমি এবং পরিচয় নিয়ে যে তথ্য সামনে আসছে, তাতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও সতর্ক হয়ে উঠেছে। একজন বাংলাদেশী নাগরিকের মুম্বাইতে এভাবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে কাজ করা এবং তারপর একজন সেলিব্রিটির উপর হামলা করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
এই পুরো ঘটনায় পুলিশ এখন খোঁজ করছে যে অভিযুক্ত কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং সে কি কোনো বড় ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল কিনা। তদন্ত এখনও চলছে।