মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলার একজন শিক্ষিকার সাথে ধর্ষণের এক অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে এক ২২ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকার সাথে ৫৫ বছর বয়সী একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি ছুরির ভয় দেখিয়ে দুষ্কর্ম করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়ে পীড়িতা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। জবলপুর পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ভয়াবহ ঘটনাটি সিহোরা থানা এলাকার।
Jabalpur: মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় ২২ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষিকার সাথে ৫৫ বছর বয়সী একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি ছুরির ভয় দেখিয়ে দুষ্কর্ম করেছে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানুষেরা এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার দাবি জানিয়েছে। পুলিশ পীড়িতাকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে এবং তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
ছুরির বলে শিক্ষিকার সাথে দুষ্কর্মের ঘটনা
পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ অক্টোবর (শনিবার) এক প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষিকা স্কুলের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে, যা ৪৫ কিলোমিটার দূরে, সিহোরা জেলা সদরের কাছে অভিযুক্ত ওমকার প্যাটেল তাকে থামিয়ে দেয়। সিহোরা থানার উপ-পরিদর্শক মনোজ কুরিল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওমকার প্যাটেল ছুরি দেখিয়ে প্রথমে শিক্ষিকার সাথে ধর্ষণ করে।
পীড়িতা বিষ খেয়েছিলেন
ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে জানে মারার হুমকি দিয়ে এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলে। এই ঘটনায় মর্মাহত হয়ে শিক্ষিকা বাড়ি পৌঁছে বিষপান করে। রবিবার রাতে, শিক্ষিকার পরিজনরা তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পীড়িতা শিক্ষিকার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে অভিযুক্তের নাম জানা গেছে
পরে পীড়িতা শিক্ষিকার পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করেছে। মৃতার পরিবার জানিয়েছে, শিক্ষিকা স্কুলে ফিরে নিজের ঘরে গিয়ে নিজেকে আটকে রেখেছিল। কিছুক্ষণ পর শিক্ষিকা দরজা না খোলার কারণে পরিবারের সদস্যরা আওয়াজ দিয়েছিল, কিন্তু কোনো সাড়া পায়নি। ঘরের দরজা খুলে তারা পীড়িতাকে বেহুঁশ অবস্থায় পায়। তাকে তারা অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পীড়িতা হোঁশ ফিরে অভিযুক্তের পরিচয় দিয়ে ঘটনার বিবরণ দেয়।