হরিয়ানভি গায়ক মাসুম শর্মার তিনটি গান সরকার কর্তৃক গান কালচারকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগে ইউটিউব থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মাসুম শর্মা সরকারের উপর বৈষম্যের অভিযোগ এনেছেন। এর আগেও তিনি তিনটি বড় বিতর্কে জড়িত ছিলেন। জেনে নিন কে মাসুম শর্মা এবং কোন কোন বিতর্কে জড়িত ছিলেন।
মনোরঞ্জন ডেস্ক: হরিয়ানা সরকার গান কালচারকে উস্কে দেওয়া গানগুলির উপর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতায়, বিখ্যাত হরিয়ানভি গায়ক মাসুম শর্মার তিনটি গান ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মাসুম শর্মা এই নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করে সরকারের উপর আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, উচ্চপদস্থ এক ব্যক্তির নির্দেশে তার গানগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি প্রথমবার নয় যখন তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। এর আগেও তার নামে অনেক বড় বিতর্ক জড়িত ছিল।
সরকার কেন মাসুম শর্মার গানগুলি নিষিদ্ধ করলো?
হরিয়ানা সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে মাসুম শর্মা, নরেন্দ্র ভাগানা এবং অঙ্কিত বালিয়ানের মোট পাঁচটি গান নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে তিনটি গান – ‘টিউশন বদমাশি কা’, ‘৬০ মুকাদ্দমা’ এবং ‘খাটোয়া’ – মাসুম শর্মার ছিল। সরকারের দাবি, এই গানগুলিতে গান কালচারকে উস্কে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে যুবকরা অপরাধের দিকে আকৃষ্ট হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সেনির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে মাসুম শর্মা কী বললেন?
গান নিষিদ্ধ হওয়ার পর মাসুম শর্মা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, সরকার ভুল পন্থায় তার গানগুলি সরিয়ে দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানা সরকারের প্রচার সেলের সাথে যুক্ত একজন কর্মকর্তার নির্দেশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাসুমের মতে, সেই কর্মকর্তার সাথে তার ব্যক্তিগত মতবিরোধ রয়েছে এবং এই কারণেই তার গানগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
কে মাসুম শর্মা?
মাসুম শর্মা হরিয়ানভি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির একজন বিখ্যাত গায়ক, সুরকার এবং গীতিকার। ৩৩ বছর বয়সী এই গায়ক ২০০৯ সালে ‘জলওয়া হরিয়ানা’ অ্যালবাম দিয়ে তার কর্মজীবনের শুরু করেছিলেন। তিনি ‘ইপি রুপা’, ‘জপ নাম ভোলে কা’, ‘২ নম্বরি’, ‘গুন্ডেতে प्यार’, ‘এক খাটোলা জেল কে ভিতর’ এবং ‘বদমাশা কা বিয়াহ’ যোন গানের জন্য পরিচিত।
আগেও বিতর্কে জড়িত ছিলেন মাসুম শর্মা
এটি প্রথমবার নয় যখন মাসুম শর্মা বিতর্কে জড়িয়েছেন। এর আগেও তিনি অনেক ঘটনায় আলোচনায় ছিলেন।
১. প্রাণনাশের হুমকি: ২০২১ সালে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন।
২. ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ: একই বছর এক নারী তাঁর এবং আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মামলা দায়ের করেছিলেন।
৩. কমেডিয়ান বিশ্বাস চৌহানের উপর হামলা: ২০২২ সালে বিখ্যাত হরিয়ানভি কমেডিয়ান বিশ্বাস চৌহান অভিযোগ করেছিলেন যে মাসুম শর্মা তাঁর উপর গুলি চালিয়েছিলেন।
আরও গান নিষিদ্ধ হবে কি?
হরিয়ানা সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের গানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চালু থাকবে। সরকারের বক্তব্য, গান কালচারকে উস্কে দেওয়া সামগ্রীর উপর কঠোরতা বজায় রাখা হবে। তাই দেখার বিষয় হলো, এই নিষেধাজ্ঞার পর হরিয়ানভি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির উপর কী প্রভাব পড়ে এবং শিল্পীরা কীভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।