আলকা ইয়াগনিক: সঙ্গীতের রানী, ব্যক্তিগত জীবনের অনন্য গল্প

আলকা ইয়াগনিক: সঙ্গীতের রানী, ব্যক্তিগত জীবনের অনন্য গল্প
সর্বশেষ আপডেট: 20-03-2025

বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা আলকা ইয়াগনিক, যাঁর মধুর কণ্ঠে লক্ষ লক্ষ হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, আজও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় থাকেন। ২০শে মার্চ, ১৯৬৬ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী আলকার জীবনযাত্রা অত্যন্ত বিশেষ ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

সঙ্গীতের সাথে জড়িত শৈশব

আলকা ইয়াগনিকের জন্ম হয়েছিল একটি গুজরাটি সঙ্গীত পরিবারে। তাঁর মা, শুভা ইয়াগনিক, নিজে একজন ক্লাসিক্যাল গায়িকা ছিলেন এবং আলকাকে সঙ্গীতের জগতে নিয়ে আসার কৃতিত্বও তাঁরই। মাত্র ৬ বছর বয়সে কলকাতা আকাশবাণীতে ভজন গান গাওয়া আলকা খুব কম বয়সেই সঙ্গীতের পথ চলা শুরু করেছিলেন।

স্বপ্নের শহর মুম্বই এবং সূচনার প্রত্যাহ্বান

আলকার কর্মজীবন গড়ে তোলার জন্য তাঁর মা প্রচণ্ড সংগ্রাম করেছিলেন। মুম্বই এসে তিনি রাজ কাপুরকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যার পর প্যারেলাল আলকার কণ্ঠ শুনে তাঁকে ডাব্বিং আর্টিস্ট হিসেবে সুযোগ দিয়েছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আলকা ‘পায়াল কি झंकार’ ছবির গান গেয়েছিলেন এবং এরপর ‘লাওয়ারিস’ ছবির সুপারহিট গান ‘মেরে অঙ্গনে মেন তুমহারা ক্যা কাম হে’ দিয়ে তিনি সকলের প্রিয়তমা হয়ে উঠেছিলেন।

হিট গানের রানী

আলকা ইয়াগনিকের যাত্রা ‘তেজাব’ ছবির গান ‘এক দো তিন’ দিয়ে আরও উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এরপর ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম হ্যাঁ রাহি প্যার কে’, ‘আকেলে হাম আকেলে তুম’ ইত্যাদি গান তাঁর কর্মজীবনের সোনালী অধ্যায় হয়ে উঠেছে।

দূরত্ব সত্ত্বেও সম্পর্কের মিষ্টতা

আলকা ইয়াগনিকের ব্যক্তিগত জীবনও তাঁর পেশাগত জীবনের মতোই আলোচনায় রয়েছে। ১৯৮৯ সালে তিনি শিলংয়ের এক ব্যবসায়ী নীরজ কাপুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে, কর্মজীবনের প্রতি নিষ্ঠা তাঁকে স্বামীর থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করেছে। গত কয়েক বছর ধরে দুজনে আলাদা আলাদা শহরে থাকলেও এই দূরত্ব তাঁদের সম্পর্ককে ভেঙে ফেলতে পারেনি। আজও দুজনে পরস্পরের সম্মান ও ভালোবাসাকে ধরে রেখেছেন।

সঙ্গীতের প্রতি নিষ্ঠা, সম্পর্কের আদর্শ

আলকা ইয়াগনিকের এই অনন্য সম্পর্ক বলে দেয় যে, প্রেম শুধুমাত্র পাশে থাকার নাম নয়, বরং সম্মান ও বোঝাপড়ার নাম। সঙ্গীত ও পরিবার উভয়ের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা আজও তাঁর ভক্তদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। আলকা ইয়াগনিক আজও তাঁর কণ্ঠের মাধ্যমে সকলের হৃদয়ে বাস করেন এবং তাঁর জীবনযাত্রা বলে দেয় যে, সত্যিকারের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা যেকোনো দূরত্বকে অতিক্রম করতে পারে।

Leave a comment