বলিউড অভিনেত্রী আথিয়া শেট্টি চলচ্চিত্র জগৎ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। এই চমকপ্রদ তথ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর পিতা ও প্রবীণ অভিনেতা সুনীল শেট্টি জানিয়েছেন। সুনীল শেট্টি জানিয়েছেন আথিয়া আর চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান না এবং তিনি নিজের কর্মজীবনের নতুন পথ বেছে নিয়েছেন।
Athiya Shetty Quits Bollywood: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে প্রতিদিন নতুন নতুন তারকারা আগমন করছেন, সেখানে কিছু তারকা আবার নীরবে এই ঝক্ঝক্জে জগতকে বিদায় জানিয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি এমনই একটি চমকপ্রদ খবর সামনে এসেছে, যা আথিয়া শেট্টির অনুরাগীদের হতবাক করে দিয়েছে। প্রবীণ অভিনেতা সুনীল শেট্টি তাঁর কন্যা আথিয়া শেট্টি সম্পর্কে বড় ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন যে, তাঁর কন্যা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন।
অভিষেক থেকে বিদায় পর্যন্ত যাত্রা
আথিয়া শেট্টি ২০১৫ সালে ‘হিরো’ ছবি দিয়ে বলিউডে পদার্পণ করেন। সালমান খানের ব্যানারে নির্মিত এই ছবিটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক সাফল্য তিনি বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। এরপর ‘মুবারকান’ এবং ‘মোতিচুর চকনাচুর’ সহ আরও কিছু ছবিতে অভিনয় করলেও সেগুলি বক্স অফিসে তেমন সাফল্য পায়নি। ধীরে ধীরে আথিয়া বড় পর্দা থেকে হারিয়ে যেতে থাকেন এবং অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে তিনি কি বিরতি নিয়েছেন নাকি কোনও নতুন প্রজেক্টে ব্যস্ত রয়েছেন?
সুনীল শেট্টির বড় প্রকাশ্য
এই সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অভিনেতা সুনীল শেট্টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে, আথিয়া চলচ্চিত্র থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। ‘কেসরি বীর’ ছবির প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, একদিন আথিয়া আমার কাছে এসে বলেছিল, ‘বাবা, আমি আর সিনেমা করব না।’ আমি তার কথায় সম্মান দেখিয়ে তাকে কখনোই বাধা দিইনি। সে সমাজের প্রত্যাশার পরিবর্তে নিজের অন্তরের কথা শুনেছে।
সুনীল শেট্টি আরও বলেছেন যে আথিয়াকে চলচ্চিত্রের অনেক অফার পাচ্ছিল, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন কারণ তার আগ্রহ এখন অন্য দিকে।
পারিবারিক জীবনে সুখী আথিয়া
আথিয়া শেট্টি ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে ভারতীয় ক্রিকেটার কেএল রাহুলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই জুটিকে অনুরাগীরা বেশ পছন্দ করেছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বিয়ের ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। এখন এই দম্পতি তাদের জীবনে একটি নতুন সূচনা করেছেন। সম্প্রতি আথিয়া এক সুন্দরী কন্যার মা হয়েছেন এবং এখন তিনি তাঁর মাতৃত্ব এবং পারিবারিক জীবনকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
চলচ্চিত্রের ঝক্ঝক্জে জীবন থেকে দূরে আথিয়া একটি শান্ত ও ব্যক্তিগত জীবন যাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে তিনি ক্যামেরার আলো থেকে দূরে সরে একটি সাধারণ কিন্তু সুষম জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
