মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫-এ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতির চমকপ্রদ পরিবর্তন এনেছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি বৃহত্তম অর্থনৈতিক যজ্ঞে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে কেনাকাটা এবং লেনদেনের পাশাপাশি ভক্তরা স্নান, পুজো ও উপাসনাও করছেন। কুম্ভের মাধ্যমে অযোধ্যা, বারাণসী সহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানগুলিতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেখা গেছে।
মহাকুম্ভে বিপুল অর্থনৈতিক লেনদেন
মহাকুম্ভে চলতি বছর প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) জানিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ লেনদেনের মাধ্যমে শুধু প্রয়াগরাজ নয়, আশপাশের ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শহরগুলিতেও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে।
অযোধ্যা ও বারাণসীর অর্থনৈতিক লাভ
এই বছরের মহাকুম্ভের ফলে অযোধ্যা, বারাণসী সহ অন্যান্য তীর্থস্থানগুলিরও অর্থনীতি উজ্জীবিত হয়েছে। আঞ্চলিক শহরগুলিতে ব্যবসার বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটেছে, যা স্থানীয় অর্থনীতির চাঙ্গা হওয়ার প্রতিফলন।
মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য
এবারের মহাকুম্ভে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা (৩৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের লেনদেন হয়েছে। CAIT-এর মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলেছেন, এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন নয়, আস্থা ও অর্থনীতির গভীর সম্পর্কের বাস্তব উদাহরণ।
প্রথমে ৪০ কোটি ভক্তের আগমনের ধারণা, পরে ৬০ কোটি ছাড়ানোর আশঙ্কা
এবারের মহাকুম্ভে ৪০ কোটি ভক্তের আগমন প্রত্যাশিত ছিল, তবে এই সংখ্যা ৬০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। যার ফলে, ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিশেষ লাভ পাওয়া শিল্প খাতগুলো
CAIT জানিয়েছে, পর্যটন, হোটেল, আবাসন, খাদ্য ও পানীয় শিল্প, পরিবহন, লজিস্টিকস, পূজার সামগ্রী, ধর্মীয় পোশাক, হস্তশিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, মিডিয়া, বিজ্ঞাপন, বিনোদন, স্মার্ট টেকনোলজি, সিসিটিভি-টেলিকম, এবং AI-ভিত্তিক পরিষেবায় সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে।
পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ
মহাকুম্ভের জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার ৭৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই অর্থে রাস্তাঘাট, ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে, যার ফলে প্রয়াগরাজসহ আশপাশের এলাকার নাগরিক পরিষেবার মান এবং যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে।
এই বিপুল আয়ের ফলে প্রমাণিত হয়েছে যে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিও অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, এবং মহাকুম্ভ মেলা তার একটি অসাধারণ উদাহরণ।