সরকার কাঁচা খাদ্যতেল আমদানির উপর কর ১০% কমিয়ে দিয়েছে। এর অর্থ হল, বিদেশ থেকে তেল আনার উপর এখন আগের চেয়ে কম কর লাগবে। এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দাম কমার সাথে সাথে দেশীয় তেল উৎপাদন ও পরিশোধন শিল্পকেও সাহায্য পাবে, কারণ এখন এই শিল্পগুলির জন্য কাজ করা আরও লাভজনক হবে। মোটের উপর, এই পদক্ষেপ তেলের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য তা সস্তা করতে এবং দেশের তেল শিল্পকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
আমদানি শুল্ক হ্রাস
কেন্দ্রীয় সরকার কাঁচা খাদ্যতেল আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে তেলের দাম কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইমামি অ্যাগ্রোটেকের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুধাকর রাও দেসাই পিটিআইকে জানিয়েছেন যে, গত কয়েক মাসে খাদ্যতেলের দাম প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা এখন ধীরে ধীরে কমছে এবং আগামী সময়ে এক অঙ্কের স্তরে পৌঁছাতে পারে।
বাজারের উপর প্রভাব এবং সরিষার তেলের দাম
পূর্ব ভারতের এক খাদ্যতেল উৎপাদনকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, পাইকারি বাজারে ইতিমধ্যেই দাম কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাবে এবং এই পরিবর্তন কেবল আমদানিকৃত তেলগুলিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।
দেশীয় পরিশোধন শিল্পের উন্নয়ন
সরকার কাঁচা খাদ্যতেল আমদানির উপর কর কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে কাঁচা এবং পরিশোধিত তেলের উপর করের পার্থক্য বেড়ে ২২.৫% হয়েছে। এর অর্থ হল, এখন কাঁচা তেল বিদেশ থেকে আনা সস্তা হয়েছে, অন্যদিকে পরিশোধিত তেলের উপর বেশি কর লাগবে। এতে দেশীয় পরিশোধন শিল্পের জন্য লাভ হবে কারণ তারা কাঁচা তেল কিনে দেশে পরিশোধন করে বেশি লাভ করতে পারবে। অর্থাৎ কাঁচা তেল আমদানি করে দেশে পরিশোধন করা এখন বেশি লাভজনক হয়েছে, যার ফলে দেশীয় তেল শিল্পের উন্নয়ন হবে এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমবে। হালদার ভেঞ্চার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেশব কুমার হালদার এই পরিবর্তনকে শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে আমদানিকৃত সয়াবিন, সূর্যমুখী এবং পাম তেলের দাম ধীরে ধীরে কমবে, যা চালের খোসা এবং সরিষার তেলের মতো দেশীয় পণ্য পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
পরিশোধন খাতে ক্ষমতা ব্যবহার ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার আশা করা হচ্ছে, যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে শক্তিশালী করা হবে এবং আমদানিকৃত পরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরতা কমবে।