সোনা-রুপোর দামে ঊর্ধ্বগতি! ২৪ ক্যারেট সোনা ৮৯,৯০০ টাকা ছাড়িয়ে গেল, রুপো ১,০৩,০০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম। ডলারের দুর্বলতা, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তায় দাম বৃদ্ধি। আজকের নবীনতম দাম এবং বিনিয়োগের উপযুক্ত সময় জানুন
সোনা-রুপোর দাম: হোলির পর ভারতীয় স্বর্ণকার বাজারে সোনা ও রুপোর দামে তীব্র ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা গেছে। ১৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১০ গ্রাম সোনার দামে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রধান শহরগুলিতে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৮৯,৯০০ টাকা এবং ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৮২,৪০০ টাকার উপরে ব্যবসা হচ্ছে। অন্যদিকে, রুপোর দামও বেড়ে ১,০৩,০০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রামে পৌঁছেছে।
প্রধান শহরগুলিতে সোনার নবীনতম দাম (১৫ মার্চ ২০২৫)
ভারতের প্রধান শহরগুলিতে সোনার দাম নিম্নরূপ:
দিল্লি: ২২ ক্যারেট সোনা – ৮২,৬৪০ টাকা, ২৪ ক্যারেট সোনা – ৮৯,৯৪০ টাকা
চেন্নাই: ২২ ক্যারেট সোনা – ৮২,৩১০ টাকা, ২৪ ক্যারেট সোনা – ৮৯,৭৯০ টাকা
মুম্বাই: ২২ ক্যারেট সোনা – ৮২,৩১০ টাকা, ২৪ ক্যারেট সোনা – ৮৭,৯৯০ টাকা
কলকাতা: ২২ ক্যারেট সোনা – ৮২,৩১০ টাকা, ২৪ ক্যারেট সোনা – ৮৭,৯৯০ টাকা
রুপোর দামেও তীব্রতা
১৫ মার্চ রুপোর দাম প্রতি কিলোগ্রাম ১,০৩,১০০ টাকা রেকর্ড করা হয়েছে। রুপোর দামেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের নজর বাজারে রয়েছে।
সোনা-রুপোর দাম বৃদ্ধির পিছনে কারণ
আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি
সম্প্রতি সোনার দাম বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হল আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি। আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক সোনার দিকে বেড়েছে।
ডলার সূচকে অবনতির ফলেও সোনার দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ডলার দুর্বল হলে সোনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে দাম বাড়ে।
ব্যাজের হারে সম্ভাব্য হ্রাস
ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক ব্যাজের হার হ্রাসের সম্ভাবনার ফলেও সোনার দামকে শক্তি মিলেছে। ব্যাজের হার কমলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ায়, যার ফলে দাম বৃদ্ধি পায়।
আমেরিকার বেকারত্বের পরিসংখ্যান এবং উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রতিবেদনও সোনার দামকে প্রভাবিত করছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণেও সোনার দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতে সোনার দাম কীভাবে নির্ধারিত হয়?
ভারতে সোনার দাম বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে:
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম
ভারতীয় টাকার ডলারের বিপরীতে অবস্থান
সরকার কর্তৃক আরোপিত আমদানি শুল্ক এবং কর
বিবাহ ও উৎসবের মৌসুমে চাহিদা বৃদ্ধি
সোনার বিশুদ্ধতা কীভাবে চিহ্নিত করবেন?
সোনার বিশুদ্ধতা চিহ্নিত করার জন্য হলমার্কিংয়ের নিয়ম প্রযোজ্য। হলমার্কিংয়ের আওতায় সোনার গয়নায় বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয়:
৯৯৯ – ২৪ ক্যারেট সোনা
৯৫৮ – ২৩ ক্যারেট সোনা
৯১৬ – ২২ ক্যারেট সোনা
৮৭৫ – ২১ ক্যারেট সোনা
৭৫০ – ১৮ ক্যারেট সোনা
২২ ও ২৪ ক্যারেট সোনার মধ্যে পার্থক্য কী?
২৪ ক্যারেট সোনা ৯৯.৯% বিশুদ্ধ, কিন্তু এর থেকে গয়না তৈরি করা যায় না।
২২ ক্যারেট সোনা ৯১% বিশুদ্ধ, যাতে ৯% অন্যান্য ধাতু (তামা, রুপো, জিঙ্ক) মিশ্রিত থাকে, যা থেকে গয়না তৈরি করা হয়।
কীভাবে জানবেন আজকের সোনার দাম?
যদি আপনি ২২ ক্যারেট এবং ১৮ ক্যারেট সোনার নবীনতম দাম জানতে চান, তাহলে ৮৯৫৫৬৬৪৪৩৩ নম্বরে মিসড কল দিন। আপনাকে SMS-এর মাধ্যমে নবীনতম দাম পাওয়া যাবে।
সোনা কেনার সময় হলমার্কের দিকে লক্ষ্য রাখুন
সোনা কেনার সময় সর্বদা BIS হলমার্কের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এটি সরকারী গ্যারান্টি, যা সোনার বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করে। হলমার্কিং পরিকল্পনা ভারতীয় মানক বুরো (BIS) কর্তৃক পরিচালিত হয়।