ইরান বলেছে, মাত্র একটি ফোন কলের মাধ্যমে আমেরিকা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতান্যাহুকে শান্ত করতে পারে। ইসরায়েল যদি আক্রমণ অব্যাহত রাখে, তাহলে ইরান প্রতিশোধ নেবে। উপসাগরীয় দেশগুলি মধ্যস্থতা করেছে, কিন্তু ট্রাম্পের অবস্থান কঠোর।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ: পশ্চিম এশিয়ায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে এখন বাকবিতণ্ডা তীব্রতর হয়েছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে ইরান আমেরিকার কাছে সরাসরি আবেদন করেছে যে, যদি তারা এই সংঘাতকে সত্যিই থামাতে চায়, তাহলে তাদের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বড় দাবি
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচী সোমবার (১৬ জুন ২০২৫) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’ (পূর্বে টুইটার)-এ পোস্ট করে বলেছেন, আমেরিকা থেকে মাত্র একটি ফোন কল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতান্যাহুকে শান্ত করার জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেছেন, এই একটি কলই সমগ্র সংঘাত থামাতে এবং আলোচনার পথ খুলে দিতে পারে।
ইসরায়েল যদি আক্রমণ অব্যাহত রাখে, তাহলে জবাব দেওয়া হবে
আরাঘচী সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি তার সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে ইরানও প্রতিশোধাত্মক আক্রমণ করতে বাধ্য হবে। তিনি আমেরিকাকে পরামর্শ দিয়েছেন, যদি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সত্যিই যুদ্ধবিরতি চান, তাহলে তাদের নীতিতে স্পষ্টতা ও গুরুত্ব দেখাতে হবে।
ইরানের উপসাগরীয় দেশগুলির প্রতি আবেদন
এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইরান কাতার, সৌদি আরব ও ওমানের মতো উপসাগরীয় দেশগুলির কাছে আবেদন করেছে যাতে তারা আমেরিকার সাথে কথা বলে এবং ইসরায়েলের উপর চাপ প্রয়োগ করে যেন তারা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়। রয়টার্সের প্রতিবেদনের মতে, ইরান এটাও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যদি যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রগতি হয়, তাহলে তারা পারমাণবিক আলোচনার ব্যাপারে নমনীয়তা দেখাতে প্রস্তুত।
ট্রাম্পের তীব্র বক্তব্য
অন্যদিকে, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়ে বলেছেন, ইরানকে সেই পারমাণবিক চুক্তিতে আগেই স্বাক্ষর করে দিতেই হত, যখন তিনি বলেছিলেন। ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, এটি সমগ্র মানবতার জন্য লজ্জাজনক পরিস্থিতি এবং এটির ফলে প্রচণ্ড ক্ষতি হচ্ছে। তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন যে, ইরান যেন কোনো অবস্থাতেই পারমাণবিক অস্ত্র না পায়।