ভারতীয় শেয়ার বাজার বুধবার দৃঢ়তার সাথে বন্ধ হয়েছে। টাটা স্টিল, টেক মহিন্দ্রা এবং মেটাল স্টকসে উল্লেখযোগ্য উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। WPI 0.85% কমেছে, স্বস্তির আশা দেখা দিয়েছে।
আজকের বাজার বন্ধ: ১৪ মে, ২০২৫, বুধবার ভারতীয় শেয়ার বাজারে উত্থান-পতনের পর অবশেষে দৃঢ়তা দেখা গেছে। প্রারম্ভিক মন্দার পরও শেষ ঘণ্টায় তীব্র ক্রয়ের ফলে বাজার সবুজে বন্ধ হয়েছে। বিশ্ববাজার থেকে মিশ্র সংকেতের মধ্যেও দেশীয় উপাদানগুলি বাজারকে সমর্থন করেছে।
সেনসেক্স-নিফটিতে দৃঢ়তা
বিএসই সেনসেক্স (BSE Sensex) ১৮২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৮১,৩৩০.৫৬ এ বন্ধ হয়েছে। দিনের লেনদেনে সেনসেক্স ৮১,৬৯১.৮৭ পর্যন্ত গিয়েছিল। অন্যদিকে, এনএসই নিফটি (Nifty 50) ৮৮.৫৫ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২৪,৬৬৬.৯০ তে বন্ধ হয়েছে।
মেটাল এবং আইটি সেক্টরের শেয়ারে অসাধারণ উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। আমেরিকায় মন্দার আশঙ্কা কমে যাওয়া এবং ডলারের দুর্বলতার ফলে মেটাল কোম্পানিগুলি উপকৃত হয়েছে।
টাটা স্টিল শীর্ষ লাভজনক, ৪% এর তীব্র ঊর্ধ্বগতি
বাজারে টাটা স্টিল (Tata Steel) এর শেয়ার নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, যা প্রায় ৪% বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও টেক মহিন্দ্রা, মারুতি, মহিন্দ্র অ্যান্ড মহিন্দ্র, ইনফোসিস, ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক এবং এইচসিএল টেকও বৃদ্ধি পেয়ে বন্ধ হয়েছে।
এশিয়ান পেইন্টস এবং টাটা মোটরসে অবনতি
যদিও কিছু কোম্পানি বাজারে চাপও সৃষ্টি করেছে। এশিয়ান পেইন্টস এবং টাটা মোটরসের খারাপ ত্রৈমাসিক ফলাফলের কারণে তাদের শেয়ারে অবনতি হয়েছে। কোটাক ব্যাংক, এনটিপিসি, পাওয়ার গ্রিড, এইচডিএফসি ব্যাংক এবং আইসিআইসিআই ব্যাংকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আইটি এবং মেটাল সেক্টর বাজারের প্রাণ
আমেরিকার সাথে বাণিজ্যিক উত্তেজনা পূর্ণ পরিবেশে ভারতের সমান শুল্ক আদায়ের ঘোষণার ফলে মেটাল স্টকসে উজ্জীবন ফিরে এসেছে। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAIL) -এ ২.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন হিন্দুস্থান কপার, ভেদান্ত লিমিটেড এবং হিন্দুস্থান জিঙ্ক এর শেয়ারও সবুজে বন্ধ হয়েছে।
আইটি সেক্টর (IT Stocks) এও ১.৩৪% দৃঢ়তা দেখা গেছে। আমেরিকান মন্দার আশঙ্কা কমে যাওয়ায় আইটি কোম্পানিগুলি সমর্থন পেয়েছে, কারণ তাদের রাজস্ব অনেকটা আমেরিকা থেকে আসে।
মুদ্রাস্ফীতির হারে স্বস্তি: WPI ০.৮৫% এ নেমে এসেছে
সরকার কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের এপ্রিলে थोक মূল্য সূচক (WPI) ০.৮৫% এ নেমে এসেছে। মার্চ মাসে এটি ছিল ২.০৫%। জ্বালানি (পেট্রোল-ডিজেল), বিদ্যুৎ এবং কাঁচামালের দাম কমে যাওয়ার ফলে এই হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে।
চোখে পড়া মূল্য সূচক (CPI)ও ৩.১৬% এ নেমে এসেছে, যা ২০1৯ সালের জুলাই মাসের পর সর্বনিম্ন। এতে সাধারণ মানুষের জন্য মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে স্বস্তির বার্তা এসেছে।
এশিয়ান বাজারগুলির মিশ্র প্রদর্শন
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এশিয়ান বাজারগুলির মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। জাপানের নিক্কেই ০.৫৭% কমেছে, যখন হংকংয়ের হ্যাংসেং ১.১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি ০.৬৭% উপরে রয়েছে। আমেরিকান ফিউচার্স বাজারও হালকা হ্রাসের সাথে স্থির রয়েছে।
