ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে শংকর শর্মা বিনিয়োগকারীদের রক্ষণাত্মক বিনিয়োগ কৌশল অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে মাল্টি-অ্যাসেট পদ্ধতিকে সর্বোত্তম বলে উল্লেখ করেছেন।
শেয়ার বাজার: ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে উদ্বিগ্ন, কারণ এর প্রভাব শেয়ার বাজারে পড়বে কি না তা নিয়ে। এই বিষয়ে জ্যেষ্ঠ বিনিয়োগ বিশ্লেষক এবং GQuant Investech-এর প্রতিষ্ঠাতা শংকর শর্মা মনে করেন যে বাজার এই ধরনের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয় না।
তিনি স্পষ্ট করেছেন যে বাজারকে কোনও সংঘাতের প্রকৃতি—ছোট পরিসরে ঘটনা নাকি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ—বুঝতে কিছুটা সময় লাগে। যতক্ষণ না এটা স্পষ্ট হয় যে এটি কেবল সীমিত ঘটনা নাকি ব্যাপক সংকটে পরিণত হবে, ততক্ষণ বাজার অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকে।
তেজি বাজার এখন পুরোনো পর্যায়ে প্রবেশ
শংকর শর্মা আরও বলেছেন যে ২০২০ সালে কোভিড মহামারীর পর যা তেজি বাজার শুরু হয়েছিল, তা এখন তার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তার 'লেক অফ রিটার্ন' তত্ত্ব অনুসারে, ভারতীয় শেয়ার বাজারে এখন দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা কমে গেছে।
তিনি মনে করেন যে বুল রান যা বিনিয়োগকারীদের এতদিন ভালো লাভ দিয়েছে, তা এখন ধীরে ধীরে কমছে, এবং বিনিয়োগকারীদের এটির অভ্যাস ত্যাগ করে নতুন কৌশলের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
এখন বিনিয়োগে রক্ষণাত্মক কৌশলের প্রয়োজন
শংকর শর্মা বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়েছেন যে তারা কেবলমাত্র ইকুইটির উপর নির্ভর করবেন না। এর পরিবর্তে তাদের মাল্টি-অ্যাসেট পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। এই পদ্ধতিতে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:
- ইকুইটির সাথে স্থির আয়ের বিকল্প
- সোনায় বিনিয়োগ
রক্ষণাত্মক খাতে ফোকাস
তার মতে, এখন বিনিয়োগ আক্রমণাত্মক নয়, বরং রক্ষণাত্মক খেলা হয়ে উঠেছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আগামী চ্যালেঞ্জিং সময়ে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেবে।
মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপে বেশি ঝুঁকি
গত কয়েক বছরে স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ শেয়ার অসাধারণ রিটার্ন দিয়েছে, তবে এখন এদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি অবনতি দেখা যেতে পারে। শংকর শর্মার মতে, মহামারীর পর এই সংস্থাগুলি প্রায় ৪৮% বার্ষিক রিটার্ন দিয়েছে, যা এখন টেকসই থাকতে পারে না।
তার মতে, যে শেয়ার সবচেয়ে বেশি লাভ দেয়, সংকটের সময় সেটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিও করতে পারে। তাই বিনিয়োগকারীদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।
