দেশজুড়ে জাল নোটের ভয়াবহতা দ্রুত বেড়ে চলেছে, যা সাধারণ জনগণের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ৫০০ এবং ২০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) -এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই বর্ধমান ঝুঁকির প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
৫০০ এবং ২০০ টাকার জাল নোটে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি
RBI-এর ২০২৪-২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের মতে, ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা ৩৭.৩৫% বেড়ে ১,১৭,৭২২ হয়েছে, যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। একইভাবে ২০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা ১৩.৯% বেড়ে ৩২,৬০০-এ পৌঁছেছে। এই পরিসংখ্যানগুলি দেখায় যে জাল নোটের জালিয়াতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং মানুষকে সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
২০০০ টাকার জাল নোটে ব্যাপক হ্রাস
প্রতিবেদনে ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যায় ৮৬.৫% -এর ব্যাপক হ্রাস দেখা গেছে। ২০২৪ অর্থবর্ষে যেখানে ২৬,০৩৫টি জাল নোট পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ২০২৫ অর্থবর্ষে তা নেমে ৩,৫০৮-এ এসেছে। এই হ্রাস ১৯ মে ২০২৩-এ ২০০০ টাকার নোট প্রচলন থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পরে দেখা গেছে।
৫০০ টাকার নোটের আধিপত্য অব্যাহত
ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রচলনে রয়েছে ৫০০ টাকার নোট। মোট মূল্যের হিসাবে এর অংশীদারিত্ব ৮৬% এবং পরিমাণের হিসাবে ৪০.৯%। এর পরে ১০ টাকার নোট ১৬.৪% অংশীদারিত্ব নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
জাল নোট থেকে কীভাবে বাঁচবেন?
জাল নোট থেকে বাঁচার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখুন:
- ওয়াটারমার্ক দেখুন: আসল নোটে মহাত্মা গান্ধীর ছবির সাথে ওয়াটারমার্ক থাকে।
- সিকিউরিটি থ্রেড পরীক্ষা করুন: আসল নোটে রূপার রঙের একটি পাতলা লাইন থাকে, যা আলোতে চকমক করে।
- রঙ পরিবর্তনকারী কালি দেখুন: নোটটিকে ঝুঁকিয়ে রাখলে রঙ পরিবর্তন হয়।
- উঁচু ছাপা অনুভব করুন: আসল নোটে ছাপা কিছুটা উঁচু থাকে।
ডিজিটাল লেনদেনে বাড়ন্ত আস্থা
RBI-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, জাল নোটের সমস্যা বৃদ্ধি পেলেও দেশে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন অনলাইন পেমেন্টের বিকল্প বেশি বেশি বেছে নিচ্ছে, যা জাল নোটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করছে।