ভারতে শীঘ্রই প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ চিপ লঞ্চ হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছেন যে, ভারতের প্রথম চিপসেট চলতি বছরেই বাজারে আসবে। এটি ভারতের জন্য একটি বড় মাইলফলক হতে পারে, কারণ চিপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত চীন, আমেরিকা, ভিয়েতনাম এবং জাপানের মতো দেশগুলির আধিপত্য রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ভারত এখন চিপ উৎপাদনের পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে, যেখানে দ্রুততার সাথে দেশে সরঞ্জাম নির্মাতা, উপাদান নির্মাতা এবং নকশা আনা হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে, ভারতের সেমিকন্ডাক্টর প্রোগ্রামে শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের সাড়া অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে, যদিও তিনি এ কথাও স্বীকার করেছেন যে, উন্নত চিপ তৈরি করা সহজ কাজ নয় এবং এর জন্য ব্যাপক প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে।
বৈষ্ণব আশ্বাস দিয়েছেন যে, ভারত এই চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে উঠতে পারবে এবং দেশের এই লক্ষ্য অর্জনের সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত এই দিকে দ্রুত অগ্রগতি করছে।
সরকার AI-এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সংক্রান্ত সকল স্টেকহোল্ডারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে একটি সঠিক নিয়ন্ত্রক কাঠামো তৈরি করছে। এই পদক্ষেপ উদ্ভাবন এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
AI ব্যবহারের প্রসঙ্গে বৈষ্ণব বলেছেন যে, এই প্রযুক্তি স্বাস্থ্যসেবা, আবহাওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নকশা-সংক্রান্ত কিছু জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। এই সাথে তিনি আরও ঘোষণা করেছেন যে ভারত আগামী ১০ মাসের মধ্যে নিজস্ব AI মডেল তৈরি করবে।
AI-এর শীর্ষ দেশের তালিকায় ভারতের নাম
গ্লোবাল ভাইব্রেন্সি র্যাঙ্কিং ২০২৩ অনুযায়ী, শীর্ষ ১০টি AI দেশের মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, চীন, যুক্তরাজ্য, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, জাপান এবং সিঙ্গাপুর। তবে AI ক্ষেত্রে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা অত্যন্ত তীব্র।
AI-এর সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির কথা বললে, সেই খেতাব আমেরিকার, যারা এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব বজায় রেখেছে।
