জম্মু ও কাশ্মীরে ৩২,৪৭৪-এরও বেশি সরকারি পদ বছরের পর বছর ধরে খালি রয়েছে, যার ফলে প্রদেশের লক্ষ লক্ষ যুবক বেকারত্বের কবলে পড়েছে। জেনে নিন কোন কোন বিভাগে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে এবং সরকারের পরিকল্পনা কী?
শিক্ষা ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে একদিকে উন্নয়ন পরিকল্পনার ঘোষণা হচ্ছে, অন্যদিকে যুবকদের বেকারত্ব ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। রাজ্যের বিধানসভায় সম্প্রতি উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, প্রদেশে ৩২,৪৭৪-এর বেশি সরকারি পদ বছরের পর বছর ধরে খালি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ অ-গেজেটেড এবং মাল্টি-টাস্কিং ক্যাটাগরিতে।
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা তথ্য উপস্থাপন করেন
বিধানসভায় সিপিআই(এম) বিধায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামীর প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা বলেন, রাজ্যে ২,৫০৩ টি গেজেটেড, ১৯,২১৪ টি অ-গেজেটেড এবং ১০,৭৫৭ টি মাল্টি-টাস্কিং ক্যাটাগরির পদ এখনও পূরণ করা হয়নি। এই অবস্থা শুধুমাত্র বেকারত্বের সংখ্যা বাড়াচ্ছে না, পাশাপাশি সরকারি কাজের গতিও প্রভাবিত করছে।
স্বাস্থ্য, নির্মাণ এবং কৃষি বিভাগে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৭,৮৫১ টি পদ খালি রয়েছে, অন্যদিকে লোক নির্মাণ বিভাগে ৩,৭৫৯ এবং পশুপালন বিভাগে ২,৫৮৯ টি পদ খালি রয়েছে। এছাড়াও শিল্প, আবাসন, কৃষি, বিদ্যুৎ, খাদ্য এবং অর্থের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলিতেও হাজার হাজার পদ খালি রয়েছে। এই তথ্য স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি যুবকদের বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সরকারি পরিকল্পনা এবং দাবী, কিন্তু মাঠে প্রভাব কম
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা জানান, ২০০৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর সেবা নির্বাচন বোর্ড (JKSSB) কে মোট ৫৪,৫৪০ টি পদের জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে ৪৯,৫৬৪ টি পদে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর লোকসেবা আয়োগ (JKPSC) কে পাঠানো ১০,৭৬২ টি পদের মধ্যে ৯,০৮০ টি পদে নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছে। তারপরেও, বেশিরভাগ পদ এখনও অনুমোদন বা রেফারেল প্রক্রিয়ায় আটকে রয়েছে।
রাজ্য সরকার এও দাবি করেছে যে, ‘মুমকিন’, ‘তেজস্বিনী’, ‘PMEGP’ এবং ‘মিশন যুব’ এর মতো পরিকল্পনার মাধ্যমে গত চার বছরে প্রায় ৯.৫ লক্ষ স্বনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। যদিও এখনও ৩.৬৯ লক্ষের বেশি শিক্ষিত যুবক প্রদেশের কর্মসংস্থান কার্যালয়ে নিবন্ধিত রয়েছে, যা সরকারি প্রচেষ্টার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরে।
