আবহাওয়ার পূর্বাভাস: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫-এ মকরসংক্রান্তি উদযাপন করা হবে, কিন্তু উত্তর ভারতে আবহাওয়া বেশ শীতল থাকবে। সমগ্র উত্তর ভারতে তাপমাত্রা কখনও কমে আবার কখনও বাড়ছে, যার ফলে মানুষ শীত থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, বিহার এবং রাজস্থানে ঠান্ডা ও কুয়াশার প্রভাব বেশি অনুভূত হবে। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে স্নান করতে আসা ভক্তদেরও শীতের মুখোমুখি হতে হবে।
দিল্লি-এনসিআর-এ কুয়াশা ও ঠান্ডা
রাষ্ট্রীয় রাজধানী দিল্লি ও এনসিআর-এর সোমবার দিনটি শীতল বাতাসে শুরু হয়েছিল, কিন্তু দিনের বেলা তীব্র রোদে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। তবে ১৪ জানুয়ারি তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিকারীদের মতে, দিল্লিতে এই দিনে মেঘলা ও হালকা কুয়াশা দেখা দিতে পারে, যার ফলে শীত আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইয়া আসা শীতল বাতাসের কারণে দিল্লি-এনসিআর-এ তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে।
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে ঠান্ডার প্রকোপ
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারেও ঠান্ডার প্রভাব স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রবিবার বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু সোমবার আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল। তবে, শীতের কোনো কমতি হয়নি। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের প্রধান স্নানের দিনে ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিকারীদের মতে, প্রয়াগরাজের ন্যূনতম তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। এছাড়াও, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে কুয়াশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে পারে। বহু এলাকায় সড়ক পরিবহনও প্রভাবিত হতে পারে।
রাজস্থান ও পাঞ্জাবের শীতলহর চলমান
রাজস্থানে সোমবার ঘন কুয়াশার সাথে ঠান্ডা চলমান। সকালের বেলা বেশ কয়েকটি এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছিল, পশ্চিম রাজস্থানে আবহাওয়া শুষ্ক ছিল। রাজস্থানের অনেক জায়গায় শীতলহরের কারণে শীত আরও বেড়েছে। ১৪ জানুয়ারি এখানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু কুয়াশার প্রভাব থাকবে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়ও শীত চলমান। আমৃতসরে ন্যূনতম তাপমাত্রা ৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চণ্ডীগড়ের তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এই এলাকায় শীতল বাতাস ও শীতলহরের কারণে ঠান্ডা বেড়ে যেতে পারে।
কাশ্মীরে তাপমাত্রা কমে, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
কাশ্মীরে ১৪ জানুয়ারি আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা, কিন্তু তাপমাত্রা কমে গেছে। পহেলাগামের তাপমাত্রা শূন্যের ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে, যার ফলে উপত্যকায় শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে। আবহাওয়া অধিকারীদের মতে, ১৪ জানুয়ারি কাশ্মীরে মেঘলা থাকবে, এবং পরবর্তী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
সার্বিক আবহাওয়ার পরিস্থিতি কি হবে?
উত্তর ভারতে ১৪ জানুয়ারি তীব্র ঠান্ডা ও শীতলহরের প্রভাব থাকবে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং কাশ্মীরে ঠান্ডা বেড়ে যেতে পারে, এবং কুয়াশা ও শীতল বাতাসের কারণে জীবনযাত্রা ও যানবাহন প্রভাবিত হতে পারে। আবহাওয়া অধিকারীদের মতে, মকরসংক্রান্তির পর কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে, কিন্তু শীতের প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে থাকবে।
আবহাওয়ার প্রভাব এড়ানোর উপায়
এই তীব্র শীতে মানুষের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সকাল ও রাতে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা এড়িয়ে চলুন। আগুন জ্বালানো, গরম কাপড় পরা এবং শরীরকে ঢেকে রাখা দ্বারা শীত থেকে বাঁচা যায়। এছাড়া, কুয়াশার সময় সড়কে যাতায়াত করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫-এর আবহাওয়া উত্তর ভারতে ঠান্ডা এবং শীতলহরের কারণে মানুষের জন্য কঠিন হতে পারে। মকরসংক্রান্তিতে আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু ঠান্ডার প্রভাব সম্পূর্ণরূপে কমবে না। যাত্রী ও সাধারণ মানুষদের আবহাওয়ার খবর পর্যবেক্ষণ করা জরুরি, যাতে কোনও অসুবিধা থেকে বাঁচা যায়।