মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ট্রাম্পের বৈঠকে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক, খালিস্তান, অবৈধ অভিবাসী ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
PM Modi US Visit: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে খালিস্তান, অবৈধ অভিবাসী ভারতীয়সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
‘MAGA+MIGA=MEGA’ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী মোদী তার বক্তব্যে ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট অ্যাগেইন’ (MIGA) দর্শনের কথা বলেন। তিনি এটিকে ট্রাম্পের বিখ্যাত স্লোগান ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (MAGA) এর সাথে জুড়ে বলেন, যখন দুই দেশ একত্রে কাজ করে, তখন ‘MAGA+MIGA’ মিলে ‘MEGA’ (সমৃদ্ধির জন্য একটি বৃহৎ অংশীদারিত্ব) তৈরি হয়।
তিনি বলেন, “আমেরিকার জনগণ রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের ‘MAGA - মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ স্লোগানের সাথে পরিচিত। ভারতের জনগণও ঐতিহ্য ও উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়ে উন্নত ভারত ২০৪৭ এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এই চিন্তাধারার সাথে সাথে আমরা ‘MIGA - মেক ইন্ডিয়া গ্রেট অ্যাগেইন’ এর উপর কাজ করছি।”
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলার (৪৩ লক্ষ কোটি টাকা) অতিক্রম করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি এবং আমাদের দল শীঘ্রই এ ব্যাপারে কাজ শুরু করবে।"
তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম X-এ লিখেছেন, "ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই বাণিজ্যিক চুক্তি উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে এবং এটি বিশ্ববাজারেও শক্তিশালীকরণ আনবে।"
বৈঠকে কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে রয়েছে:
খালিস্তান ও অবৈধ অভিবাসী ভারতীয়: উভয় নেতা খালিস্তানী কর্মকাণ্ড ও অবৈধ অভিবাসীদের সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা: ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব: দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
