ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ আকাশ আক্রমণ চালিয়েছে, যাতে ২৫০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাসের একজন মন্ত্রী এবং একজন ব্রিগেডিয়ার নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর এই আক্রমণ চালানো হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ: ইসরায়েল আবারও গাজা উপত্যকায় ব্যাপক আকাশ আক্রমণ চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ইসরায়েলি এয়ার স্ট্রাইকের ফলে গোটা গাজা উপত্যকা কেঁপে উঠেছে। এই আক্রমণকে গত ১৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণগুলির একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই আক্রমণের সাথে সাথেই ৫৭ দিনের শান্তির পর গাজায় আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
হামাসের মন্ত্রী ও ব্রিগেডিয়ারসহ ২৫০ জনেরও বেশি নিহত
আলজাজিরার প্রতিবেদনের अनुसार, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েলি আক্রমণে হামাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ২৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই আক্রমণের সাথে সাথেই ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গেছে।
হামাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা লক্ষ্যবস্তু
এইবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন হামাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। প্রতিবেদনের মতে, এই আক্রমণে গাজার অভ্যন্তরীণ ও জাতীয় সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও প্রশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধান এবং হামাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার বহ্জাত হাসান আবু সুলতান নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, উপ অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেনারেল মাহমুদ আবু ওয়াতফাও এই আক্রমণে নিহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যর্থ
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায় ৪২ দিন ধরে বজায় রেখেছিল, কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু তাও সফল হয়নি।
নেতান্যাহুর বড় ঘোষণা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতান্যাহুর কার্যালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "হামাস ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং শান্তি আলোচনা ব্যর্থ করেছে, যার ফলে ইসরায়েল এই আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন আমরা হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক আক্রমণ আরও তীব্র করব।"