খ্যাতনামা আইনজীবী কপিল সিব্বল ওয়াক্ফ সংশোধনী আইন নিয়ে দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিজেআই সঞ্জীব খন্না বিকেলে এই আবেদনগুলো বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
Waqf Bill 2025: রাজ্যসভায় সদস্য এবং খ্যাতনামা আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে Waqf Amendment Act 2025 সংক্রান্ত দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আইন ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে। সিব্বলের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর যুক্তি শুনে সিজেআই সঞ্জীব খন্না-নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, আবেদনগুলো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান বিচারপতি কী বলেছেন?
সিজেআই বলেছেন, দ্রুত শুনানির জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা রয়েছে, তাই বিকেলে আবেদনগুলো দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে তা তালিকাভুক্ত করা হবে কি না। তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই অনেক আবেদন দাখিল হয়েছে এবং সবগুলো একসাথে তালিকাভুক্ত করা হবে।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর প্রতিবাদ বেড়েছে
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্প্রতি Waqf (Amendment) Bill 2025 অনুমোদন করেছেন। এর আগে সংসদের উভয় কক্ষে এ বিষয়ে তীব্র আলোচনা হয়েছিল। এখন এই আইন নিয়ে অনেক আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আবেদন সমস্ত কেরাল জামিয়াত-উল-উলমার, যারা এটাকে সংবিধানের উপর আক্রমণ বলে মনে করছে।
জামিয়াত উলমা-এ-হিন্দ-এর আপত্তি
জামিয়াত উলমা-এ-হিন্দ তাদের আবেদনে বলেছে, এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা। সংগঠনটি ওয়াক্ফ বোর্ডে অ-মুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার বিধানে তীব্র আপত্তি উত্থাপন করেছে। তারা এটাকে মৌলিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
দেশজুড়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন হবে
এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের বিরুদ্ধে ৬টি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। মুসলিম পার্সোনাল ল' বোর্ডও ঘোষণা করেছে যে তারা দেশজুড়ে এই আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ প্রদর্শন করবে। আবেদনগুলোর মূল বিষয় ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং ধারা ১৪ এবং ১৫-এর মতো সাংবিধানিক বিধান।
সরকারের পক্ষ কী?
সরকারের দাবি, এই আইন সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত এবং এর উদ্দেশ্য স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আনা। পাশাপাশি এই আইন ধারা ১৫ অনুসারে মুসলিম নারীদের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের বিশেষ অধিকার প্রদানের জন্য আনা হয়েছে। সরকারের যুক্তি, इससे ওয়াক্ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হবে এবং এই আইন সংবিধান অনুসারে।