সীমান্তে জাল নেভিগেশন সিগনাল: বিমানের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে

সীমান্তে জাল নেভিগেশন সিগনাল: বিমানের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে
সর্বশেষ আপডেট: 22-03-2025

সীমান্ত এলাকায় জাল নেভিগেশন সিগনাল বিমানের দিকভ্রান্ত করতে পারে, যার ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সরকার এবং DGCA সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

সিগনাল-স্পুফিং: অমৃতসর এবং জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় উড়ান পরিচালনা করা বিমানগুলিকে 'সিগনাল স্পুফিং'-এর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই ইলেকট্রনিক সিগনাল স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের অনুকরণ করে, যার ফলে বিমানের দিকভ্রান্ত হতে পারে এবং নিরাপত্তার উপর হুমকি দেখা দিতে পারে।

দুই বছরে ৪৫০-এর বেশি উড়ানে প্রভাব

লোকসভায় সরকার জানিয়েছে যে গত দুই বছরে ৪৫০-এর বেশি ভারতীয় বিমান সিগনাল স্পুফিংয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এই সমস্যাটি মূলত ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের আশেপাশে দেখা গেছে, যেখানে জাল সিগনাল ফ্লাইট সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

কী সিগনাল স্পুফিং?

সিগনাল স্পুফিংয়ে বিমানকে সঠিক দিক দেখানো প্রকৃত স্যাটেলাইট সিগনালের পরিবর্তে জাল সিগনাল পাঠানো হয়। এর ফলে পাইলট ভুল তথ্য পেতে পারেন, যার ফলে বিমান নির্ধারিত রুট থেকে বিচ্যুত হতে পারে এবং গুরুতর দুর্ঘটনার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফ্লাইট অপারেশনে প্রভাব

ভুল অবস্থান তথ্য: পাইলট ভুল দিক এবং অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পান।

নিরাপত্তা ঝুঁকি: ফ্লাইট রুট থেকে বিচ্যুত হওয়ার ফলে সংঘর্ষ এবং অন্যান্য ঝুঁকির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ল্যান্ডিং এবং টেকঅফে সমস্যা: গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এই সমস্যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে সিগনাল স্পুফিংয়ের বর্ধিত ঘটনা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আশঙ্কা রয়েছে যে এটি ইলেকট্রনিক যুদ্ধের অংশ হতে পারে, যেখানে শত্রু দেশ ইচ্ছাকৃতভাবে সিগনাল পাঠিয়ে ভারতীয় বিমানগুলিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।

ড্রোন আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য স্পুফিংয়ের ব্যবহার?

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় সীমান্ত এলাকায় শত্রু ড্রোনকে থামাতে সিগনাল স্পুফিং ব্যবহার করা হয়। ভারতে নিরাপত্তা বাহিনী অমৃতসর এবং জম্মুতে গত দুই বছরে কয়েকশ পাকিস্তানি ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার ফলে অনুমান করা হচ্ছে যে কিছু সিগনাল স্পুফিং ঘটনা ড্রোন নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথেও যুক্ত হতে পারে।

সরকার এবং DGCA-এর কর্ম পরিকল্পনা

সরকার এবং नागरिक उड्डयन महानिदेशालय (DGCA) এই হুমকিটিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে। নতুন নেভিগেশন সিস্টেম এবং অ্যান্টি-স্পুফিং প্রযুক্তি গ্রহণের দিকে কাজ করা হচ্ছে যাতে ভারতীয় বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

Leave a comment