হরিয়ানার রোহতক জেলায় কংগ্রেস কর্মী হিমানী নরওয়ালের হত্যার ঘটনা তীব্র রূপ নিয়েছে। পুলিশ এই মামলায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে।
চণ্ডীগড়: হরিয়ানার রোহতক জেলায় কংগ্রেস কর্মী হিমানী নরওয়ালের হত্যার ঘটনা তীব্র রূপ নিয়েছে। পুলিশ এই মামলায় বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তের পরিচয় বাহাদুরগড় निবাসী সচিন হিসেবে পাওয়া গেছে, যিনি হিমানীর সাথে সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হিমানী অভিযুক্তকে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন এবং তার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন।
স্যুটকেসে মিলেছে মৃতদেহ
১ মার্চ রোহতকের কাছে একটি হাইওয়ের ধারে একটি স্যুটকেসের মধ্যে হিমানী নরওয়ালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, তার গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে এখন এর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। মৃতার মা সবিতা নরওয়াল কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, "নির্বাচন এবং পার্টি আমার মেয়ের জীবন নিয়েছে। তার কিছু শত্রু তৈরি হয়েছে, যারা পার্টির হতে পারে অথবা তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে থেকেও হতে পারে।"
তিনি অভিযোগ করেন যে, তার মেয়ে ১০ বছর ধরে কংগ্রেসের জন্য কাজ করছিল, কিন্তু যখন তার চাকরির প্রয়োজন হলো, তখন পার্টি তাকে উপেক্ষা করেছে। তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ না তার মেয়ে ন্যায়বিচার পায়, ততক্ষণ তিনি তার শেষকৃত্য করবেন না।
হিমানী নরওয়ালের রাজনৈতিক জীবন এবং বিতর্ক
হিমানী নরওয়াল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুড্ডা এবং দীপেন্দ্র হুড্ডার নির্বাচনী প্রচারণায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। নির্বাচনের পর তিনি পার্টি থেকে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। পুলিশ এখনও ঘটনার গভীর তদন্ত করছে।
অভিযুক্ত সচিন স্বীকার করেছে যে সে হিমানীকে হত্যা করেছে, কিন্তু এর পেছনে ব্যক্তিগত কারণ ছিল নাকি কোন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র জড়িত, তার তদন্ত চলছে। হিমানী নরওয়াল হত্যাকাণ্ড হরিয়ানার রাজনীতিতে ধাক্কা তুলেছে, এবং এখন সকলের নজর এই মামলার তদন্তের উপর।
