প্রশান্ত কিশোরের নীতীশ কুমারের গ্রাম থেকে স্বাক্ষর অভিযান: বিহার নির্বাচনের ইঙ্গিত

প্রশান্ত কিশোরের নীতীশ কুমারের গ্রাম থেকে স্বাক্ষর অভিযান: বিহার নির্বাচনের ইঙ্গিত
সর্বশেষ আপডেট: 05-05-2025

১১ই মে থেকে নীতীশ কুমারের পৈত্রিক গ্রাম কল্যাণবিগহা থেকে স্বাক্ষর অভিযান শুরু করবেন প্রশান্ত কিশোর। এই অভিযান বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে জনতার আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত বহন করছে।

বিহার রাজনীতি: বিহারের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়ে প্রশান্ত কিশোর তার দল জন সুরাজের মাধ্যমে রাজ্যে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন। ১১ই মে থেকে তিনি নীতীশ কুমারের পৈত্রিক গ্রাম কল্যাণবিগহা থেকে স্বাক্ষর অভিযান শুরু করবেন। এই কর্মসূচী বিহারের রাজনীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। এটিকে একটি অভিযানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ এটি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে জনতার আদালতে যাওয়ার ঘোষণা।

অভিযানের উদ্দেশ্য এবং কৌশল

প্রশান্ত কিশোরের এই স্বাক্ষর অভিযান কেবলমাত্র একটি সাধারণ প্রচার অভিযান নয়, বরং এর মাধ্যমে তিনি জন সুরাজ পার্টি কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি এবং সরকারের পরিকল্পনাগুলিকে সাধারণ জনতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এই অভিযান বিহারের প্রত্যেক প্রান্তে পৌঁছাবে, যেখানে ঘরে ঘরে গিয়ে জানা যাবে বিহার সরকারের পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কতটা কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

নীতীশ সরকারের উপর প্রশ্ন

এই অভিযানের সময় জন সুরাজ পার্টির সদস্য বীরমণি যাদব এবং দীনেশ কুমার নীতীশ কুমারের সরকারের উপর প্রশ্ন তুলেছেন। যাদব বলেছেন যে এখন সময় এসেছে জনতা তাদের অধিকারের জন্য জেগে উঠুক। তিনি বলেছেন, “নীতীশ সরকারের পরিকল্পনাগুলো সংবাদপত্রে অনেক দেখা যায়, কিন্তু গরিবদের কাছে পৌঁছায় না।” তাঁর দাবি, মানুষ কল্যাণবিগহা এবং অন্যান্য এলাকায় এই অভিযানে যুক্ত হয়ে প্রশান্ত কিশোরের সমর্থন করবে।

জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রতিশ্রুতি

দীনেশ কুমার এই সময় নীতীশ কুমারের একটি বড় প্রতিশ্রুতির উপরও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী জাতিভিত্তিক জনগণনার নামে ৯৮ লক্ষ গরিব এবং ৪৯ লক্ষ ভূমিহীনকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা আজও কেবল ঘোষণা হয়েই রয়ে গেছে। এছাড়াও, তিনি অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে প্রশান্ত কিশোরের অভিযানকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে।

জনতার আস্থা এবং জন সুরাজ পার্টির সমর্থন

নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে, জন সুরাজ পার্টির সদস্যরা স্পষ্ট করে বলেছেন যে তাদের অভিযানে জনতার শক্তিশালী সমর্থন পাচ্ছে। দীনেশ কুমার বলেছেন যে এখন বিহারের জনতা একটি শক্তিশালী বিকল্পের প্রয়োজন এবং প্রশান্ত কিশোর সেই বিকল্প হয়ে উঠছেন। পার্টি দাবি করেছে যে জনতার রোষ সরকারের প্রতি বেড়েছে এবং এখন তারা তাদের সমস্যার সমাধান চায়।

Leave a comment