মোদী কেবিনেট: ‘অপারেশন সিন্দুর’ ও ২২ মিনিটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

মোদী কেবিনেট: ‘অপারেশন সিন্দুর’ ও ২২ মিনিটে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
সর্বশেষ আপডেট: 05-06-2025

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কেবিনেট বৈঠকে ‘অপারেশন সিন্দুর’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ভারত এখন ২২ মিনিটেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১১ বছরের সাফল্য ও পরিকল্পনাও উপস্থাপন করা হয়।

PM কেবিনেট বৈঠক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মোদী সরকার ৩.০-এর এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর কেবিনেট বৈঠকে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, যেখানে আগে যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলত, সেখানে এখন ভারত ২২ মিনিটের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। বৈঠকে ১১ বছরের সরকারের সাফল্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট এবং নতুন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়।

কেবিনেট বৈঠকে মোদী সরকারের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন

মোদী সরকার ৩.০-এর গঠনের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর ৪ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কেবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে সরকারের গত ১১ বছরের সাফল্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং ভবিষ্যৎ কৌশলও স্পষ্ট করা হয়।

‘২২ মিনিটে অপারেশন সিন্দুরে সিদ্ধান্ত’

এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "আগে যুদ্ধ অনেক দিন ধরে চলত, কিন্তু এখন ভারত ২২ মিনিটের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।"

এই বক্তব্যটি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে প্রতিশোধমূলক অভিযান অপারেশন সিন্দুরের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ভারতীয় সেনা জম্মু-কাশ্মীরের পালগামে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের জবাবে পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করেছিল।

বিশ্ব দেখেছে ভারতের শক্তি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপারেশন সিন্দুরে বিশ্ব ভারতের সামরিক ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক দৃঢ়তা দেখেছে। তিনি কেবিনেটের সকল মন্ত্রীকে সতর্ক করে বলেন,
"বিশ্বের দৃষ্টি এখন ভারতের উপর, তাই প্রতিটি পরিকল্পনা এবং প্রকল্প গুণগত মানের সাথে সম্পন্ন করা অপরিহার্য।"

সকল মন্ত্রণালয়কে লক্ষ্যভিত্তিক কাজ করার নির্দেশ

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রণালয়গুলিকে একে অপরের সাথে তুলনা করে সময় নষ্ট না করে নির্ধারিত লক্ষ্যে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে হবে। তিনি নির্দেশ দেন যে, সকল মন্ত্রণালয় জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের ১১ বছরের সাফল্যের কথা জানাবে।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতেও জোর

বৈঠক চলাকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশে স্থূলতা সমস্যা এবং খাদ্যতেলে ১০% কম ব্যবহারের বিষয়ে উপস্থাপনা দেয়। এটি সরকারের ‘সুস্থ ভারত’ মিশনের অংশ, যেখানে জনগণকে সুষম ও পুষ্টিকর খাবারের প্রতি সচেতন করা হচ্ছে।

নীতি আয়োগ বৈঠকে আকাঙ্ক্ষী জেলা প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট উপস্থাপন করে। এই পরিকল্পনার আওতায় দেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বৈঠকে জানানো হয় যে, খুব শীঘ্রই সকল কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় বিস্টায় নির্মিত নতুন সচিবালয় ভবনে স্থানান্তরিত হবে। এতে মন্ত্রণালয়গুলো একীভূত স্থান পাবে এবং প্রশাসনিক কাজে আরও গতি আসবে।

Leave a comment