মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন

মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন
সর্বশেষ আপডেট: 06-03-2025

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণে এবার সুবিধাভোগীরা মোবাইলে আবাস প্লাস অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। ঘর না থাকলে অনুসূচিত জাতি, অনুসূচিত জাতি এবং মধ্যবিত্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

PM Awas Yojana: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ 2.0 (PMAY-G) -এর অধীনে দুমকা জেলায় সুবিধাভোগীদের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গেছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৮-২৯ পর্যন্ত যোগ্য পরিবারগুলিকে পাকা ঘর সরবরাহ করা। এই যোজনার অধীনে সুবিধাভোগীদের ১.২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা ঘর নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হবে।

৩১শে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে

ঝাড়খণ্ডে এই যোজনার জন্য ৩১শে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। সমীক্ষার কাজ গ্রাম পঞ্চায়েত সচিবদের মাধ্যমে করা হবে, এবং জেলা ও প্রখণ্ড স্তরে যাচাইয়ের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আবাস প্লাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে

সুবিধাভোগীরা এখন নিজেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন

পিএম আবাস যোজনা গ্রামীণের জন্য এখন সুবিধাভোগীরা নিজেরাই তাদের মোবাইল থেকে আবেদন করতে পারবেন। জাতীয় তথ্য কেন্দ্র (NIC) এর জন্য আবাস প্লাস নামে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে। যোগ্য ব্যক্তিরা এই অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

কোন কোন ব্যক্তি এই যোজনার সুবিধা পাবেন?

এই যোজনার অধীনে নিম্নলিখিত সুবিধাভোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে:

- বেঘরে পরিবার
- অনুসূচিত জাতি (SC) এবং অনুসূচিত জনজাতি (ST) -এর পরিবার
- মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ
- যাদের কোন পাকা ঘর নেই

কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন?

- আবাস প্লাস-২০২৪ সমীক্ষা এবং আধার ফেস আইডি অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
- একটি মোবাইল ফোন থেকে কেবলমাত্র একটি আবেদন করা যাবে।
- আবেদনের জন্য আধার নম্বর বাধ্যতামূলক।

কোন কোন ব্যক্তি এই যোজনার সুবিধা পাবেন না?

কিছু শ্রেণীর লোক এই যোজনার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে:

- যেসব কৃষকদের কেসিসি লিমিট ৫০,০০০ টাকার বেশি।
- যাদের পাকা ঘর বা তিন/চার চাকার গাড়ি আছে।
- যেসব কৃষকদের ১১.৫ একরের বেশি অনসিঞ্চিত জমি বা ২.৫ একরের বেশি সিঞ্চিত জমি আছে।
- যেসব পরিবারের কোন সদস্য সরকারি চাকরি করেন অথবা ব্যবসায়িক কর প্রদান করেন।

সরকার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে

সরকার এই যোজনার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যোগ্য পরিবারগুলিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। দুমকা জেলার উপ-উন্নয়ন কমিশনার অভিজিৎ সিনহার মতে, পঞ্চায়েত স্তরে সমীক্ষা করা হচ্ছে, কিন্তু সুবিধাভোগীরাও অ্যাপের মাধ্যমে নিজের তথ্য দিতে পারবেন, যার ফলে প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং দ্রুততা আসবে।

"এখন সুবিধাভোগীরা নিজেরাই আবেদন করতে পারবেন, যার ফলে তাদের কারো উপর নির্ভর করার দরকার হবে না। সরকারের এই উদ্যোগ গরিবদের জন্য বড় সহায়তা হবে।" – অভিজিৎ সিনহা, উপ-উন্নয়ন কমিশনার, দুমকা

Leave a comment