মোদী-কর্নির টেলিফোন আলোচনা: G7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ ও নতুন সম্পর্কের আশা

মোদী-কর্নির টেলিফোন আলোচনা: G7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ ও নতুন সম্পর্কের আশা
সর্বশেষ আপডেট: 07-06-2025

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কর্নি-র মধ্যে ফোনে আলোচনা হয়েছে। G7 শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সম্পর্কের নতুন সূচনার আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

G7 শীর্ষ সম্মেলন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কানাডার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে. কর্নি-র মধ্যে সম্প্রতি হওয়া টেলিফোনিক আলোচনা ভারত-কানাডা সম্পর্কের নতুন এক সূচনার আশা জাগিয়েছে। এই আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে G7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা এই মাসের শেষে কানাডার ক্যানানাস্কিসে অনুষ্ঠিত হবে। উভয় নেতা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও যৌথ স্বার্থের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী কর্নি-র মধ্যে টেলিফোনিক আলোচনা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কানাডার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে. কর্নি-র মধ্যে সম্প্রতি একটি ইতিবাচক ও আন্তরিক ফোনকল হয়েছে। এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্নি-কে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং G7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদী এক্স (পূর্বে টুইটার) -এ পোস্ট করে লিখেছেন, "কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক জে. কর্নি-র সাথে ফোনে কথা বলে আনন্দিত হয়েছি। সাম্প্রতিক নির্বাচনে তাঁর জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি এবং এই মাসের শেষে ক্যানানাস্কিসে অনুষ্ঠিতব্য G-7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছি।"

প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন যে, ভারত ও কানাডা, যারা উভয়েই সজীব গণতন্ত্র এবং যাদের মধ্যে গভীর জন-জনের সম্পর্ক রয়েছে, পারস্পরিক সম্মান ও যৌথ স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন উদ্যমে একত্রে কাজ করবে।

G-7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণের গুরুত্ব

প্রধানমন্ত্রী কর্নি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই মাসের শেষে কানাডার ক্যানানাস্কিসে অনুষ্ঠিতব্য G-7 শীর্ষ সম্মেলনে (G-7 Summit) যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই সম্মেলনের আমন্ত্রণ ভারতের জন্য বিশ্বব্যাপী মঞ্চে নিজের উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী করার এক বিরাট সুযোগ।

G-7, যাকে Group of Seven বলা হয়, বিশ্বের সাতটি প্রধান উন্নত অর্থনীতির দেশের সমষ্টি— কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা। এই গোষ্ঠীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF), বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘ (UN) এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাও অংশগ্রহণ করে।

ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়?

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক বেশ উত্থান-পতনময়ী ছিল, বিশেষ করে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর। সেই সময় কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে, খালিস্তানী সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় সংস্থাগুলির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

নতুন সরকারের সাথে কি পরিবর্তন হবে রণনীতি?

কানাডায় এখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে। মার্ক জে. কর্নি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটিই প্রথম ইঙ্গিত যে তারা ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন। ফোনকল ও G7 শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ এই ইঙ্গিত করে যে কানাডার নতুন সরকার ভারতের সাথে অর্থপূর্ণ ও ইতিবাচক আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

Leave a comment