মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় ফ্রি ট্রাফিক মুভমেন্ট (এফটিএম)-এর বিরোধিতায় সহিংসতার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। শনিবার নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, আরও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
ইম্ফাল: মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় ফ্রি ট্রাফিক মুভমেন্ট (এফটিএম)-এর বিরোধিতায় সহিংসতার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। শনিবার নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, আরও ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এই ঘটনার পর কুকি-জো সম্প্রদায় অনির্দিষ্টকালীন বন্ধের ডাক দিয়েছে, যার ফলে রাজ্যে সাধারণ জনজীবনে প্রভাব পড়েছে।
সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, ৪০ জন আহত
রাজ্যে উত্তেজনার প্রধান কারণ কেন্দ্র সরকার কর্তৃক প্রয়োগকৃত ফ্রি ট্রাফিক মুভমেন্ট (এফটিএম) বিধি, যার বিরোধিতা করছে কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের ধারণা, এই বিধি তাদের সুরক্ষা ও স্বার্থের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পুলিশ প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
শনিবারের সহিংসতায় একজন প্রতিবাদকারীর মৃত্যু হয়েছে, আরও ৪০ জনেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে রয়েছেন নারী ও পুলিশ কর্মী, আহত হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি ছুড়েছে, যার জবাবে পুলিশকে বল প্রয়োগ করতে হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য এনএইচ-২ (ইম্ফাল-দিমাপুর রোড)-এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গমঘীফাই এবং কাংপোকপি জেলার অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও अर्धसैनिक বাহিনী নিয়মিত গশ্ত করছে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। শনিবার রাতে প্রতিবাদকারীরা সেনাবাহিনীর গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছে এবং কমপক্ষে পাঁচটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবাদকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলিও ছুঁড়েছে, যার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
কুকি সম্প্রদায়ের ডাকা অনির্দিষ্টকালীন বন্ধের ফলে রাস্তায় নীরবতা বিরাজ করছে, বাজার বন্ধ এবং পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয়রা অনিশ্চয়তা ও ভয়ের পরিবেশে আছেন, অন্যদিকে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সরকার জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পুনঃস্থাপন করা তাদের অগ্রাধিকার এবং প্রয়োজন হলে আরও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।