বিজেপি নেতা আস্কর আলী ওয়াকফ আইন নিয়ে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন, ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর ইম্ফলে ব্যাপক বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন: মণিপুরে ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ (Waqf Amendment Law 2025) কেন্দ্রিক বিক্ষোভ তীব্রতর হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় এর ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার মণিপুর রাজ্য সভাপতি আস্কর আলীর এই আইনের সমর্থনে দেওয়া বক্তব্য আরও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ফলশ্রুতিতে, অসন্তুষ্ট জনতা রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বিজেপি নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থন জানিয়েছিলেন
প্রশাসনের মতে, আস্কর আলী কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সমর্থনে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। এই পোস্টের জেরে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার রাত প্রায় ৯টার সময় থৌবাল জেলার লিলোং এলাকায় শত শত লোক তাঁর বাড়ির সামনে জড়ো হয়। শীঘ্রই জনতা পাথর ছোঁড়া শুরু করে এবং বাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
হামলার পর আস্কর আলীর বক্তব্য: "আমাকে ভুল বোঝা হয়েছে"
ঘটনার পর আস্কর আলী একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করে তাঁর পূর্ববর্তী বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমার বক্তব্যকে ভুল বোঝা হয়েছে। আমি এখন স্পষ্টভাবে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছি। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।”
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, হিংসার পথ ছেড়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় প্রতিবাদ করা উচিত।
ইম্ফাল উপত্যকায় ব্যাপক বিক্ষোভ
আস্কর আলীর ঘটনার পর ওয়াকফ আইনের বিরোধ আরও তীব্র হয়েছে। ইম্ফাল উপত্যকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে। থৌবাল জেলার ইরোং চেসাবা এলাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীরা NH-102 সম্পূর্ণরূপে অবরোধ করে এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইম্ফাল উপত্যকার সংবেদনশীল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসন জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে, দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
